Brta লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান pdf
Brta লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান pdf এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন pdf সর্ম্পকে জানার ইচ্ছা নিয়ে আর্টিকেলটিতে ক্লিক করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমি আপনাদের জানাবো ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত বিষয়ে যত প্রশ্ন এবং তার উত্তর।
অতএব পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন যেখানে জানতে পারবেন Brta লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান pdf ও ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন pdf সর্ম্পকে বিস্তারিত।
ভূূমিকা
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সাধারণত তিন ধাপে পরীক্ষা অংশগ্রহন করতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে আপনি মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না সেক্ষেত্রে, লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে মোটরযান এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। যা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
Brta লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান pdf
প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই Brta লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান pdf সর্ম্পকে জানতে চেয়েছেন। চলুন জেনে নেই Brta লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান pdf বিষয়ে-
প্রশ্ন-১. অটোমেকানিক্স কাকে বলে?
ইঞ্জিনিয়ারিং এর যে শাখায় মোটরযান মেরামত সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষাদান বা আলোচনা করা হয় তাকে অটোমেকানিক্স বলে।
প্রশ্ন-২.গাড়ি চালনা কালে কি কি কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয়?
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট(ব্লু বুক)
- ট্যাক্স টোকেন
- ইন্সিওরেন্স সার্টিফিকেট
- ফিটনেস সার্টিফিকেট(মোটরসাইকেলের জন্য প্রযোজ্য নয়)
- রুট পারমিট(মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বোচ্চ সাত আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
প্রশ্ন-৩.হালকা/মাঝারি/ভারী মোটরযান কাকে বলে?
হালকা মোটরযান: যে মোটরযানের রেজিস্টিকৃত বোঝাই ওজন ছয় হাজার পাউন্ড বা ২৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।
মাঝারি মোটরযান: যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিটিকৃত বোঝাই ওজন ৬০০০ পাউন্ড বা ২৭২৭ কেজির বেশি কিন্তু ১৪৫০০ পাউন্ড বা ৬৫৯০ কেজির অধিক নয় তাকে মাঝারি মোটরযান বলে।
ভারী মটরজান: যে মোটরযানের রেজিস্টিকৃত বোঝাই ওজন ১৪৫০০ পাউন্ড বা ৬৫৯০ কেজির অধিক তাকে ভারী মোটরযান বলে।
প্রশ্ন-৪.গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কি?
গাড়ির চাকা ফেটে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এ সময় গাড়ি চালক কে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং এক্সিলেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে ব্রেক করা যাবে না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন-৫.গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কি?
গাড়ির ব্রেক ফেল করলে প্রথমে এক্সিলেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গাড়ির ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত বা সুবিধামতো অন্য কিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে। ঠেকানোর সময় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেন না হয় বা কম হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন pdf
প্রশ্ন-৬.জেব্রা ক্রসিং এ চালকের কর্তব্য কি?
জেব্রা ক্রসিংয়ে পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই তার আগে থামাতে হবে। জেব্রা ক্রসিংয়ের উপর গাড়ি থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।
প্রশ্ন-৭.একজন চালকের সুস্থ থাকার জন্য খাদ্য তালিকায় কয়টি খাবার সে গ্রহণ করতে পারবেন?
চালক সুস্থ থাকার জন্য তার খাদ্য তালিকায় ৬ ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন-
- শর্করা- ভাত, রুটি, ভুট্টা।
- আমিষ- ডিম, দুধ, মাছ, মাংস বিভিন্ন ধরনের ডাল।
- স্নেহ- তেল, ঘি, মাখন।
- ভিটামিন- নানা রকমের ফল বা সবজি।
- খনিজ লবণ ও আয়রন- আয়োডিনযুক্ত লবণ, কচু শাক, কাঁচা কলা, পেয়ারা।
- পানি- নিরাপদ পানি।
প্রশ্ন-৮.ড্রাইভিং পেশায় একজন চালক বিভিন্ন পরিস্থিতি কিভাবে সামলাবেন?
- সব রাস্তা বন্ধ থাকলে - বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হবে।
- স্টপ লাইটে শুধু হলুদ বাতি জ্বললে - প্রস্তুতি গ্রহণ করুন, চিহ্ন পরিবর্তন সিগন্যাল।
- জীবজন্তু হঠাৎ সামনে চলে আসলে - যথাসম্ভব ব্রেক করতে হবে।
- সূর্য যদি বৃষ্টি আচ্ছন্নকারী হয় - সানরুপ প্যাড বা পর্দা অথবা কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে।
- অদক্ষ চালকের সম্মুখ হলে - সাবধানতা অবলম্বন করে ওই গাড়ি কে সাইড দিতে হবে।
- হঠাৎ ঝড়ের সম্মুখ হলে - থাকা জায়গায় নিরাপদে গাড়ি পার্ক করতে হবে।
- রাস্তা পানি দ্বারা আবদ্ধ থাকলে - পানির গভীরতা যদি দুই ফিট বা তার নিচে হয় তাহলে একটি নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালাতে হবে। দুই ফিটের বেশি হলে গাড়ি পার্ক করতে হবে।
প্রশ্ন-৯.ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয় কেন?
- রেডিওটরে পানি না থাকলে বা কম থাকলে।
- ইঞ্জিন অয়েল কম থাকলে বা না থাকলে।
- ফ্যান বেল্ট ছিড়ে গেলে।
- অতিরিক্ত মাল বোঝাই করলে।
- ইঞ্জিনের পানির পাম্প নষ্ট হলে।
- ব্রেক জ্যাম হয়ে থাকলে।
- মোবেল না থাকলে।
প্রশ্ন-১০.গাড়ি ড্যাশবোর্ডে কি কি ইন্সট্রুমেন্ট থাকে?
- স্পিডোমিটার- গাড়ির কত বেগে চলছে তা দেখায়।
- ওডোমিটার- প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলেছে তা দেখায়।
- ট্রিপমিটার- এক গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলে তা বুঝায়।
- টেম্পারেচার গেজ- ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়।
- ফুয়েল গেজ - গাড়ি তেলের পরিমাণ দেখায়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩
প্রশ্ন-১১.ব্যাটারির কাজ কি?
- ইঞ্জিনকে চালু রাখতে সহায়তা করে।
- পেট্রোল ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেমে কারেন্ট সরবরাহ করে।
- সকল প্রকার লাইট জ্বালাতে এবং মিটার সমূহ চালাতে সহায়তা করে।
- র্হণ বাজাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন-১২.স্পার্ক প্লাগের বিভিন্ন অংশের নাম গুলো লিখুন?
টার্মিনাল নাট, গ্যাসকেট, হেক্সাগন, সেন্টার ইলেকট্রিক, গ্রাউন্ড ইলেকট্রিক ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৩.বাংলাদেশের জাতীয় গতিসীমা কত?
মোটরসাইকেল/কার/জীপ - শহর বা লোকালয়ে ৫০ কিলোমিটার/ঘন্টা এবং মহাসড়কে ১১০ কিলোমিটার/ঘন্টা।
বাস/কোস/পিকাআপ - শহর বা লোকালয়ে ৪০ কিলোমিটার/ঘন্টা এবং মহাসড়কে ৫৫ কিলোমিটার/ঘন্টা।
ভারী ট্রাক/লরী- শহর বা লোকালয়ে ৪০ কিলোমিটার/ঘন্টা এবং মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার/ঘন্টা।
ট্রাক্টর ও অন্যান্য ভারীযান - শহর বা লোকালয়ে ২০ কিলোমিটার/ঘন্টা এবং মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার/ঘন্টা।
প্রশ্ন-১৪.বিভিন্ন ধরনের গাড়ির টায়ার এর প্রেসার কত?
হালকা যানবাহন - সামনের চাকার টায়ার প্রেসার ৩০ PSI (PSI= Pounds Per Square Inch) এবং পিছনের চাকার টায়ার প্রেসার ৩৫ PSI.
মাঝারি যানবাহন - সামনের চাকার টায়ার প্রেসার ৪০ PSI এবং পিছনের চাকার টায়ার প্রেসার ৪৫ PSI.
ভারি যানবাহন - সামনের চাকার টায়ার প্রেসার ৮০ PSI এবং পিছনের চাকার টায়ার প্রেসার ৯০ PSI.
প্রশ্ন-১৫.গাড়িতে ব্যবহৃত ব্রেক সিস্টেমকে কত ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?
প্রধানত ব্রেক সিস্টেমকে চার ভাগে ভাগ করা যায়-
- হাইড্রোলিক ব্রেক সিস্টেম- (ক)ড্রাম টাইপ। (খ) ডিস্ক টাইপ।
- হ্যান্ড ব্রেক, যান্ত্রিক ব্রেক, পার্কিং ব্রেক, ইমার্জেন্সি ব্রেক।
- পাওয়ার ব্রেক।
- এয়ার ব্রেক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১৬.এজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কি?
প্রতিটি গাড়ির সামনেও পিছনে উভয় পার্শ্বে কর্নারে এক জোড়া করে মোট দুই জোড়া ইন্ডিকেটর বাকি থাকে, এই চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে বা নিভলে তাকে এজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে। কোন বিপদজনক অবস্থায় এই বাতিগুলো জ্বালানো হয়।
প্রশ্ন-১৭.পেট্রোল ইঞ্জিন ও ডিজিল ইঞ্জিন এর মধ্যে পার্থক্য?
পেট্রোল ইঞ্জিন:
- সেকশন স্টকে সিলিন্ডারে বাতাস এবং জ্বালানি মিশ্রণ প্রবেশ করে।
- বাতাস এবং পেট্রোল কার্বো সেটর এর সাহায্যে মিশ্রণ করে সিলিন্ডারে সরবরাহ করে।
- তাপীয় দক্ষতা সর্বোচ্চ ২৬%।
- আপেক্ষিক জ্বালানির খরচ বেশি।
- আয়ুষ্কাল কম।
- গতি বেশি।
- ক্রয় মূল্য কম।
ডিজেল ইঞ্জিন :
- সেকশন স্টকে সিলিন্ডারে শুধুমাত্র বাতাস প্রবেশ করে।
- কম্প্রেশন স্টকের শেষের সিলিন্ডারে জ্বালানি প্রবেশ করানোর জন্য ইঞ্জেক্টর ব্যবহার করা হয়।
- তাপীয় দক্ষতা সর্বোচ্চ ৪০%।
- আপেক্ষিক জ্বালানির খরচ কম।
- আয়ুষ্কাল বেশি।
- গতি কম।
- ক্রয় মূল্য বেশি।
প্রশ্ন-১৮.ডিজেল ইঞ্জিনের র্কাযপদ্ধতি গুলো কী কী ব্যাখ্যা করুন?
ডিজেল ইঞ্জিনের জ্বালানী হিসেবে ডিজেল ব্যবহিত হয়। এটি ৪ স্টোক সাইকেল ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনে ক্র্যাস্কশ্যাফটে দুই পাক বা ৭২০ ডিগ্রী ঘূর্ণনে একটি পাওয়ার স্ট্রোক উৎপন্ন হয়। স্টোকগুলো হলো: সাকশন স্ট্রোক, কম্প্রেশন স্ট্রোক, পাওয়ার স্ট্রোক এবং এডজাস্ট স্ট্রোক।
সেকশন স্ট্রোক: এই স্ট্রোকে পিস্টন টিডিসি থেকে বিডিসি তে গমন করে এবং সিলিন্ডারের মধ্যে বায়ুশূন্যতা সৃষ্টি করে। এই সময় ইনটেক ভাল্ব খুলে যায় ফলে বায়ুমন্ডলের বাতাস এয়ার ক্লিনার হয়ে সিলিন্ডারে প্রবেশ করে।
কম্প্রেশন স্ট্রোক: এই স্ট্রোকের পিস্টন টিবিসি থেকে বিডিসিতে গমন করে এই স্টোকের উভয় ভাল্ব বন্ধ থাকে। সিলিন্ডারের মধ্যকার বাতাস সংকুচিত হয়ে তাপ ও চাপ যুক্ত হয়। পিস্টন টিডিসি এর কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জেক্টর সূক্ষ্মকনা আকারে ডিজেল ফুয়েলকে স্প্রে করে ফলে দহ ক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় এবং তাপ শক্তির সৃষ্টি হয়।
পাওয়ার স্ট্রোক: এই স্ট্রোকে ও দুটি ভাল বন্ধ থাকে। কম্প্রেশন স্ট্রোকে সৃষ্ট তাপ শক্তি পিস্টনকে টিডিসি থেকে বিডিসিতে যেতে বাধ্য করে এই স্ট্রোকের ইঞ্জিনে পাওয়ার বা শক্তি উৎপন্ন হয়।
এগজাস্ট স্টোক: এই স্ট্রোকের পিস্টন বিডিসি থেকে টিডিসি এর দিকে উঠতে থাকে। এই সময় এগজাস্ট ভালো খুলে যায়। দহন ক্রিয়ার ফলে সিলিন্ডারের মধ্যকার পুরা গ্যাস এগজাস্ট পোর্টের মাধ্যমে সাইলেন্সার হয়ে বায়ুমন্ডলে বের হয়ে যায়।
প্রশ্ন-১৯.মোটরযান ড্রাইভিং এ দুর্ঘটনার ক্ষেত্র সমূহ কি কি?
- অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালনা করলে।
- প্রতিকূল আবহাওয়া গাড়ি চালনা করলে।
- ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তায় গাড়ি চালনা করলে।
- অনিন্দ্রিত গতিতে গাড়ি চালনা করলে।
- ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং।
- ট্রাফিক আইন মেনে না চললে।
প্রশ্ন-২০.রক্ষণাবেক্ষণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্র সমূহ কি কি?
- অদক্ষ মেরামতকারী দ্বারা মেরামত করলে।
- ত্রুটিপূর্ণ টুলস ব্যবহার করা।
- ওয়ার্কশপ ব্যতীত যেখানে সেখানে মেরামত করা।
- গাড়ি যন্ত্রাংশ ইনস্পেকশন করার সময় যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন না করা ইত্যাদি।
বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন
প্রশ্ন-২১.টায়ার রোটেশন কি?
বিভিন্ন কারণে গাড়ির সবগুলো টায়ারের ক্ষয় সমাহারে হয় না। গাড়ির চাকা গুলোর ক্ষয়ের সমতা রক্ষার জন্য একদিকে টায়ার খুলে অপরদিকে কিংবা সামনে খুলে পিছনে লাগানো কে অর্থাৎ টায়ারের স্থান পরিবর্তন করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাগানোর পদ্ধতিকে টা রোটেশন বলে।
প্রশ্ন-২২.বিভিন্ন টুলস এর নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে লিখুন?
এয়ারলাইন ও ফুট পাম্প- যান্ত্রিক বা শারীরিক শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হওয়া টিউবের মধ্যে ঢুকানোর একটি যন্ত্র। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এয়ার লাইনের ব্রিজ বা তেলের স্পর্শ না আসে।
ব্রাশ- বাহির থেকে ইঞ্জিনে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরিষ্কার টুলস এই ব্রাশ।
ফাইল’স- হাতের দ্বারা কোন ধাতুকে কাটার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র। এগুলো বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। অন্যান্য টুলস ওয়েলের গ্রীস থেকে এগুলো পৃথক রাখা উচিত।
ফানেল-তরল পদার্থের ফিল্টার করা অথবা ঢালার জন্য কৌণিক আকৃতির বস্তু।
হ্যান্ডেল সহ জ্যাকের ব্লক- একটি যন্ত্র বিশেষ যা দ্বারা ভারী জিনিস অফকাকিত কম সময় ব্যবহারে ওপরে তোলা যায়। গাড়ির চাকা কে ভুমি থেকে উপরে তোলার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-২৩.মোটর গাড়ি চালু করার আগে একজন চালকের দৈনিক পরিক্ষা করার বিষয় গুলো কি কি?
মোটর গাড়ি চালু করার আগে একজন চালকের দৈনিক পরিক্ষা করার বিষয় গুলো নিম্নে দেওয়া হলো-
- গাড়ীর চারপাশে ঘুরে দেখতে হবে।
- গাড়ীর চাকার হাওয়া পরিক্ষা করতে হবে।
- গাড়ীর চাকার নাট-বোল্ট পরিক্ষা করতে হবে।
- গাড়ীর স্পেয়ার চাকা পরিক্ষা করতে হবে।
- গাড়ীতে হাইড্রোলিা জ্যাক, জ্যাক লিভার, হূইল রেজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় টুলস আছে কিনা তা দেখতে হবে।
- গাড়ীর দরজার লক খুলতে হবে।
- গাড়ীর ভিতরের বনেট লক টান দিতে হবে।
- রেডিয়েটরে পানি দিতে হবে।
- ইগনেশন সিস্টেম প্লাগ ওয়ার ও হাইটেনশন লিভ ব্যাটারির প্লাস, মাইনাস টারমিনালে ঠিকমত আছে কিনা।
- ইঞ্জিনে অয়েল আছে কিনা তা ওয়েল গেজ বা ডিপস্টিক ধরা পরীক্ষা করতে হবে।
- ব্রেক ওয়েল পরীক্ষা করতে হবে
- ব্যাটারির এসিড পানি পরীক্ষা করতে হবে
- দরজার লক খুলতে হবে।
- সিটে বসতে হবে।
- দুই পাশের লুকিং গ্লাস ব্যাগ ভিউ মিরর এগজাস্ট করতে হবে।
- সিট এডজাস্ট করতে হবে।
- সিটবেল্ট বাধতে হবে।
- গাড়ি গিয়ার নিউট্রল আছে কিনা তা দেখতে হবে।
- প্রয়োজন মত জ্বালানি আছে কিনা তা দেখতে হবে।
- ইগনেশন সুইচ অন করতে হবে।
- ইঞ্জিন চালু করতে হবে।
- গাড়ি ফাস্ট গিয়ার দিয়ে চালনা শুরু করতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আশা করছি Brta লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান pdf, ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন pdf এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর সহ যাবতীয় সকল বিষয়ে অবগত হয়েছেন। যা আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার একটি মাধ্যম হতে পারে।
এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।
অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url