মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় কি সে সম্পর্কে জানুন

মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় কি এবং মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় খুঁজে খুঁজে হয়রান? কোথাও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আমি জানাবো- মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় কি এবং মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় সহ ৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায় এবং ১ মাসে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায়
মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় কি সহ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় কি

মোটা শরীর এক জন ব্যক্তির পার্সোনালিটি প্রকাশে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত মোটা শরীরে অসুখ বাসা বাঁধে অনেক সহজে। মোটা থেকে চিকন হতে অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। সকল পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হলো ব্যালেন্স ডায়েট। প্রতিদিনের খাবারে শরীরের ওজন অনুযায়ী কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং তিন থেকে চার লিটার পানি সেবন করা উচিত।
মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় কি
১৫ থেকে ১ মাস সময় চিনি জাতীয় খাবার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের পরিমাণ কমে দিতে হবে এমনকি লবন যুক্ত খাবার প্রত্যাহার করতে হবে। খাদ্যাভ্যাস শরীরের গঠন সুন্দর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তাই অতিরিক্ত মশলা যুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। সকালে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে।

মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায়

ইন্টারমিটেন্টফাস্টিং: এটি হল দিন এর একটি নির্দিষ্ট সময় ১২ ঘণ্টা শুধু পানি ছাড়া কোন কিছু না খেয়ে ডায়েট। অনেকেই এই সময়কে ভাগ করে ১২-১২ ঘণ্টা, ১৪-১০ ঘণ্টা, ১৫-৯ ঘণ্টা এভাবেও হিসেব করতে পারে। এই দীর্ঘ সময় ধরে এক দম কিছু না খেলে আলসার, এসিডিটির সমস্যা হতে পারে। তাই এই দীর্ঘ সময় অল্প অল্প করে পানি, চিয়া সিড, ডিটক্স ওয়াটার খেতে হয়।

ইন্টারমিটেন্ট: ফাস্টিংয়ের দীর্ঘ সময় ফাস্টিং পর এনার্জি পাওয়ার জন্য শরীরের ফ্যাট বার্ন হতে সাহায্য করে অর্থাৎ শরীরের চাহিদা পূরণ হয় সঞ্চিত ফ্যাট বার্ন এর মাধ্যমে । ফাস্টিং চলাকালীন, খাওয়ার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। যাতে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
পানি: কম বেশি সকলেই পান করে। কিন্তু নিয়ম না জেনে পানি পান করলে শরীরে কিডনি জনিত ক্ষতি হতে পারে । ওজন কমাতে মূলত সকালে খালি পেটে পানি পান করা বেশি কার্যকরী। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ২ গ্লাস পানি পান করুন এবং প্রতিবার কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার আগে অন্তত ২ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এছাড়াও সব সময় অল্প অল্প করে পানি পান করবেন এতে ওজন কমার সাথে সাথে ত্বক হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

গ্রীন টি বা ব্ল্যাক কফি: গ্রিন টি বা ব্ল্যাক কফি তে কোন সুগার যোগ না করে খেলে ওজন কমাতে বেশি কার্যকর। দিনে ২ বার গ্রীন টি বা ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। ওজন কমানোর পাশাপাশি কফিতে ক্যাফেইন থাকার কারনে সতেজ অনুভূত হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই পানীয় শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ওজন দ্রুত কমায়।

৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায়

একজন ব্যক্তির উচ্চতা অনুসারে ওজন কমানো উচিত। ওজন হ্রাস করতে প্রয়োজন দৃঢ় মনোবল। ব্যায়াম বা জিম করতে শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক শক্তি ও বেশি হতে হয়। একজন ব্যক্তির ৭ দিনে সর্বোচ্চ ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো স্বাস্থ্য ঝুকি হয় না। মাত্র ৭ দিনে ওজন কমাতে নিচের ডায়েট প্লান অনুসরণ করুন।
সকালের নাস্তা: সকালে খালি পেটে ২ গ্লাস বা ৫০০ মিলি পানি পান করুন। এরপর খালি পেটে একটি ডিটক্স ড্রিংক সেবন করুন এতে আদার রস, লেবুর রস, চিয়া সিড হালকা কুসুম গরম পানির সাথে সেবন করুন।
  • দুই চামচ ওটস।
  • দই
  • কলা
  • আপেল
  • কাজুবাদাম ২ থেকে ৩ টি
সব কিছু এক সাথে স্মুথি তৈরি করে খেতে পারেন। যা আপনার সারাদিনের কর্মক্ষেত্রে কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং ক্লান্তি দূর করে স্বস্থি যোগাবে।

দুপুরের খাবার: সকাল ও রাতের থেকে তুলনামূলক ভারি খাবার দুপুরের ডায়েট প্লানে রাখতে পারেন। যেমন শাকসবজি, শসা, টমেটো, ১ পিস মাছ অথবা মাংস এবং মিনারেল যুক্ত খাবার খেতে হবে।
বিকালের নাস্তা: বিকাল বা দিন এর যে কোন সময় হালকা ক্ষুধার জন্য অল্প পরিমাণ চিনা বাদাম, টক দই, মৌসুমি ফল, ব্ল্যাক কফি, গ্রীন টি, বুলেট কফি।

রাতের খাবার: রাতের খাবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ৮ টার মধ্যে শেষ করা ভালো। রাত ৮ টার পর পানি জাতীয় খাবার ছাড়া অন্য ভারি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রাতে এক থেকে দুটি রুটির সাথে তেল ছাড়া অল্প মশলা যুক্ত সবজি খেতে পারেন।

এই ডায়েট ৭ দিন অনুসরণ করে আপনার ওজন ১০ কেজি পর্যন্ত কমিয়ে ফেলতে পারেন।

১ মাসে চিকন হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক, ওজন কমানো খুবই কষ্টসাধ্য একটি কাজ। যারা খুব কম সময়ে বেশি ওজন কমাতে চায় বা চেষ্টা করে তাদের উচিত একজন বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেয়া। স্বাভাবিক ভাবে ওজন কমাতে পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন যে ১ মাসে ৩ থেকে ৪ কেজি ওজন কমানো স্বাস্থ্যসম্মত।
৩ থেকে ৪ কেজি কমাতে প্রায় ২২০০ থেকে ২৮০০ ক্যালরি শরীর থেকে কমাতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন যত ক্যালরির খাবার গ্রহণ করেন তা থেকে অন্তত ৩০ ক্যালরি প্রতি দিন কম খেতে হবে এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় ব্যালেন্স ডায়েট।

একজন ব্যক্তি প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবার খায় প্রত্যেকটি খাবার তার অর্ধেক পরিমাণ করে খেলে এক মাসে চিকন হওয়া সম্ভব। তবে একবারে ভাত বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ডায়েট থেকে বাদ দেয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকন হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক, স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে চিকন হওয়া সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। বাহিরের খাবার থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার ঘরোয়া পদ্ধতিতেই তৈরি করা যায়। বাহিরের খাবার সম্পূর্ণভাবে পরিহার করে ঘরে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করুন। ভেজিটেবল সালাদ বেশি করে খেতে হবে।
যদি কার্বোহাইড্রেট ১০ গ্রাম খেয়ে থাকেন তাহলে সালাদের পরিমাণ ৪০ গ্রাম খেতে হবে পাশাপাশি প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন- ডাল, মাছ, মাংস, সয়াবিন এসব খাবার ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট পর্যন্ত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

খাবারের পাশাপাশি ঘরে ব্যায়াম, যোগ আসন, ইয়োগা এমনকি জুম্বা করেও চিকন হওয়া সম্ভব। প্রতিদিন শুধুমাত্র ৪০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা বাসায় ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন এতে চিকন হওয়ার পাশাপাশি ব্রেন বুস্টিং পাওয়ার বৃদ্ধি পাবে।

১৫ দিনে চিকন হওয়ার উপায়

নিয়মিত ব্যায়াম ১৫ দিনে চিকন হওয়ার জন্য যথেষ্ট, ব্যায়ামের ক্ষেত্রে ট্রেডমিল, সাইকেলিং ইত্যাদির পাশাপাশি ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম বেশি কার্যকারি। সবচেয়ে কার্যকারি ব্যায়াম হলো স্কিপিং, একটি দড়ির সাহায্যে আপনি স্কিপিং এর ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ স্কিপিং করলে শরীরের গঠন সুন্দর হয়, এছাড়াও জাম্পিং জ্যাক, বেলিফ্যাট রিডিউসিং, স্কোয়াড, প্ল্যাংক এক্সারসাইজ খুবই কার্যকর চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে।

নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই কষ্টসাধ্য একটি কাজ, কেননা প্রতিদিন সময় মেইনটেইন করে ব্যায়াম করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। প্রথম দিন হার্ড ব্যায়াম করার পর শরীর ব্যথা অনুভূত হয়। যার কারণে আমরা অনেকেই ব্যায়াম করা ছেড়ে দেই কিন্তু তা একদমই ঠিক নয়। শরীরের এই ব্যথা সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত থাকে। যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার শরীরের পেশী তৈরি হবে।

ব্যায়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খুবই জরুরী কারণ আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার না খেলে ব্যায়াম করলে শরীরিক দুর্বলতা অনুভূত হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুটো ডিম সেদ্ধ অবশ্যই খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি, শাক-সবজি, শর্করা, আমিষ ও মিনারেল যুক্ত খাবার খেতে হবে।

চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা

চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা থেকে প্রথমেই চিনি জাতীয় খাবার একদমই বাদ দিতে হবে এবং তেল চর্বি যুক্ত খাবার থেকেও বিরত থাকতে হবে। তাহলে চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকাতে কি কি খাবার রাখা উচিত তা নিম্নে দেওয়া হলো-
চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা
  • চিয়া সিড, লেবু, মধু এবং হালকা কুসুম গরম পানি।
  • অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং হালকা কুসুম গরম পানি।
  • জিরার পানি, লেবু এবং হালকা কুসুম গরম পানি।
  • দারুচিনির গুঁড়া, মধু এবং হালকা কুসুম গরম পানি।
এই চার পদ্ধতির ডিটক্স ওয়াটার প্রতিদিন দুবার করে সেবনে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতেই দেয় না। ফলে শরীর চিকন থাকে। শসা, লাল শাক, পালং শাক, ধুন্দুল, কচু, বিভিন্ন সবজি যেগুলো আশ জাতীয় এইসব খাবার আমাদের শরীর খুব দ্রুত ডাইজেস্ট করতে পারে এবং শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে এতে করে শরীর হাইড্রেট থাকে ফলে শরীরে মেদ জমে না।

একদিনে চিকন হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক, মাত্র এক দিনে ২ বার সেবনে আপনি যত মোটাই হন না কেন, যত পুরনো চর্বিই আপনার শরীরে জমা থাক না কেন, উক্ত চর্বি গলে যাবে এবং সেই সাথে আপনাকে দেখাবে স্লিম ফিগার ও আকর্ষণীয়। অনেকেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান, শাক-সবজি, ফল-মূল, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন জাতীয় খাবার খান এবং রোজ জিম করেনন তবুও চিকন হতে পারছেন না তাদের জন্য এই পানীয়। এটি সেবনে করলে চর্বি গলে যাবে।

আসুন জেনে নেয়া যাক এই কার্যকরী রেসিপি কি ভাবে সেবন করবেন, কখন সেবন করলে ভালো ফল পাবেন এবং রেসিপি টি তৈরি করতে কি কি উপকরণ প্রয়োজন-
  • এক গ্লাস পানি
  • তোকমা
  • কাঁচা হলুদ
  • লেবু
এক গ্লাস পানিতে ২ চামচ তোকমা ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ৪-৫ ঘণ্টা পর তোকমা ফুলে যাবে তখন বুঝতে হবে এটি এক দম পর্যাপ্ত ভেজানো হয়েছে। তোকমা খেলে ওজন সহজে কমে, কারন এটি খেলে ক্ষুধা কম লাগে। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি সহ অনেক ধরনের মিনারেল রয়েছে। তোকমাতে ক্যালরি একদমই থাকে না।

ওজন কমানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত গরমে শরীর ও ঠাণ্ডা রাখে। এই শরবতে এক চিমটি কাঁচা হলুদ ও লেবুর রস যুক্ত করে খেলে চর্বি অনেক দ্রুত গলতে শুরু করে। মাত্র ১ দিনেই খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দুইবার এক গ্লাস সেবন করলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

লেখকের মন্তব্য: মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় কি - মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায়

প্রিয় পাঠক, আশা করি মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় কি এবং মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় জানতে পেরেছেন এবং চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা ও মোটা থেকে চিকন হওয়ার উপায় কি সে বিষয়ে অবগত হয়েছেন। মোটা থেকে চিকন হওয়ার মাধ্যম দীর্য করা উচিত। নয়তো শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহনের পাশাপাশি ব্যায়াম করা বেশি ফলপ্রদ।

এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url