কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস - কালোজিরা খাওয়ার ইসলামিক নিয়ম

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস এ বলা হয়েছে এবং কালোজিরা মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ ও বলা হয়েছে। কালোজিরা খাওয়ার ইসলামিক নিয়ম ও রয়েছে। ইসলামিক নিয়ম মেনে কালোজিরা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি করুন কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিসে কি বলা হয়েছে তা জানতে পারবেন।
কালোজিরা খাওয়ার ইসলামিক নিয়ম
আরো জানতে পারবেন- কালোজিরা খাওয়ার ইসলামিক নিয়ম, ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এবং প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে।

ভূমিকা

কালোজিরা সুস্বাদু ও ঔষধি গুণসমৃদ্ধ এক ধরনের বীজ। কালোজিরা, যা কালোজীরা, কালোজা, কাজিরা নামেও পরিচিত, হলো এক প্রকার বীজ যা কৃষ্ণজিরা (Nigella sativa) গাছের ফল থেকে পাওয়া যায়। হাজার বছর ধরে এটি মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইসলামে কালোজিরার ঔষধি গুণাবলী সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস

ইসলামে কালোজিরা খাওয়ার বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- এক মাত্র কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ, শুধুমাত্র মৃত্যু ব্যতীত। যা ব্যাখ্যা করা হয়েছে সহীহ বুখারী হাদিস নাম্বার-৫৬৮৮। আমরা এই হাদিস থেকে অনুমান করতে পারি যে আর কালোজিরা বিভিন্ন রোগ সারাতে বা নিরাময় করতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস
হজরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রোজ সকালে সাতটি করে কালোজিরা খাও, এতে প্রতিটি রোগে নিরাময় আছে, ব্যতীত বাতিক ছাড়া। তিরমিজি, হাদিস নং- ২৭৩৬।
হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- তুমি যদি সকালে এক চামচ কালোজিরা ও এক চামচ পানি মিশিয়ে খাও, তাহলে তুমি সেদিন সারাদিন কোনো রোগে আক্রান্ত হবে না। ইবনে মাজাহ, হাদিস নং- ৩৪৭১।

হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি কালোজিরা খাবে, সে কোনোদিন পাগল হবে না এবং কোনোদিন কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হবে না। সহীহ বুখারী, হাদিস নং- ৫৬৮৭।
হজরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের নিরাময়। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং: ৩৮৭৪।

হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- কালোজিরা তেল মালিশ করো। এতে প্রতিটি রোগের নিরাময় আছে, ব্যতীত বাতিক ছাড়া। তিরমিজী, হাদিস নং-২৭৩৭।

হজরত আবু বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত- তোমরা তোমাদের নাকের ভেতর কালোজিরা তেল দাও। এতে প্রতিটি রোগের নিরাময় আছে, ব্যতীত বাতিক ছাড়া। ইবনে মাজাহ, হাদিস নং- ৩৪৭২।

সবগুলো হাদিস থেকে আমরা ‍বুঝতে পারি, কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ। এবং ইসলামে এর ব্যবহার সম্পর্কে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কাজেই ইসলামি শরীয়াহ ভিত্তিক সুস্থ্য থাকতে নিয়মিত কালোজিরা খান।

কালোজিরা খাওয়ার ইসলামিক নিয়ম

উপরে উল্লেখিত হাদিসগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি কালোজিরা খাওয়ার বিষয়ে ইসলামিক অনেক নিয়ম রয়েছে। সেগুলো অনুসরণ করে নিয়মিত কালোজিরা খেলে সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যাবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া অনেক বেশি উপকারি । সকালে খালি পেটে মধু খেলে এটি রক্তে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণিত- নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন- যখন তোমাদের রোগ অনেক বেশি হয় বা কষ্ট দেয় তখন সামান্য পরিমাণ কালোজিরার সাথে পানীয় মধু সেবন করবে। রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ কালোজিরা বা কালোজিরার তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সেরে যায়।

আরো বলা হয়েছে, করো যদি মাথা ব্যাথার মত সমস্যা হয়ে থাকে, সেই ব্যক্তি কালোজিরার তেল মাথায় মালিশ করলে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কালোজিরা হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের জন্য বেশ উপকারি। কালোজিরার সাথে বা কালোজিরার তেলের সাথে অন্য মধু মিশিয়ে খেলে হাঁপানি রোগ সেরে যায়।

ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

হাদিসে বলাই হয়েছে কালোজিরা মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ঔষধ। সেখানে কালোজিরা খেয়ে ওজন কমানো অতি স্বাভাবিক একটি বিষয়। হাদিস অনুযায়ি নিয়মিত কালোজিরা সেবন করনে ওজন কমে যায়। নিয়মিত সুষম খাদ্য খাওয় এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি কালোজিরা খেলে শারীরিক ভাবে শক্তিশালী হওয়া এবং ওজন কমানো সম্ভব।

কালোজিরাতে রয়েছে থাইমোকুইন নামক এক ধরনের উপাদান যা চর্বি বলতে সাহায্য করে। আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি বার্ণ বা গলে গেলে, আমাদের ওজন অনেকটা কমে যায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা খাওয়া উচিত । কারণ উচ্চ রক্তচাপ ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। টাইপ টু ডায়াবেটিস ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি হওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণ।

নিয়মিত কালোজিরা খেলে রক্তে থাকা সরকার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং ওজন স্বাভাবিক রাখতে কালোজিরা খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালোজিরা হজম শক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হজম শক্তি স্বাভাবিক থাকলে আমাদের ওজন ও স্বাভাবিকভাবে।

প্রতিদিন সকালে একটাও মধু সঙ্গে এক চামচ কালোজিরা মিশিয়ে খেলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ মধু ও কালোজিরায় থাকা মেটাবোলিজম বাড়িয়ে আমাদের ওজন স্বাভাবিক রাখে।

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে কিছু কালোজিরা বা কালোজিরার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে আমাদের ওজন কমে যায়। কারণ সকালে খালি পেটে কালোজিরা মিশ্রিত গরম পানি খেলে আমাদের শরীরে থাকা অতিরিক্ত চর্বি প্রতি তাড়াতাড়ি গলে যায়। যার ফলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়

নিয়মিত সঠিক নিয়মে কালিজিরা বা কালিজিরার তেল যদি সেবন করা যায় তাহলে এর থেকে সর্বোচ্চ উপকারী পাওয়া যায়। কালিজিরা তে প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যকর গুণাবলী যুক্ত উপাদান বিদ্যমান যা শরীরের কোন ক্ষতি করে না।সাধারণত কালিজিরা খেলে ক্ষতি হয় না। তবে মাত্রারিক্ত কালিজিরা বা কালিজিরার তেল সেবন করলে কিছু সমস্যা হতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টি সকলের ই জানা প্রয়োজন তাই মনোযোগ সহকারে নিচের লেখা পড়ুন।
  • শরীরের কথাও কেটে গেলে বা অন্য কোন কারনে রক্তপাত হলে। রক্তের প্রবাহ কমাতে বা রক্ত জমাট বাঁধার যে প্রক্রিয়া রয়েছে সে ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটায় অতিরিক্ত কালিজিরা খাওয়ার ফলে।
  • শরীরে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রার থেকে কম বা বেশি হলে ডায়াবেটিস জাতীয় রোগীদের জন্য কুফল বয়ে আনতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কালিজিরা সেবন করা উচিত। কারণ অতিরিক্ত কালিজিরা সেবনে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে। এতে হঠাৎ ডায়াবেটিকস নীল হয়ে যায়।
  • গর্ভবতী অবস্থায় মায়েদের জন্য কালিজিরা যেমন সুফল নিয়ে তেমনি এর ক্ষতিকর দিক রয়েছে। অতিরিক্ত কালোজিরা সেবনে গর্ভকালীন সময়ে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অথবা খুব অল্প পরিমাণের কালিজিরা সেবন করুন।
  • যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কালিজিরা সেবন করেন তাদের শরীরে এসিডিটি সমস্যা হতে পারে তাই সাত দিন অথবা ১৫ দিন পর পর কালিজিরা সেবনে বিরত থাকুন। পাকস্থলী প্রদাহ, বুক জ্বালাপোড়া করা, প্রসবের রাস্তা জ্বালাপোড়া করা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত কালিজিরা সেবনে।

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

এক চিমটি কালিজিরা চিবিয়ে খাওয়ার যত গুনাগুণ রয়েছে তা আপানারা নিজেরাই টের পাবেন যদি নিয়মিত সকাল এ খালি পেটে এক চামচ মধুর সাথে কালিজিরা চিবিয়ে খান।
  • কালিজিরা চিবিয়ে খেলে খাবারের রুচি বৃদ্ধি পায়।
  • কালিজিরা সরাসরি চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে দাঁতের গোড়া ব্যথা, ক্যাভিটিজনিত সমস্যা ও সমাধান হয়।
  • কালিজিরা চিবিয়ে খেলে জিহ্বায় ঘা(ভিটামিন সি এর অভাবে) হয় তা থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায়।
  • কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামান্য কালিজিরা সরাসরি চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে সরাসরি পৌঁছে।
  • সর্দি-কাশি নাক বন্ধজনিত সমস্যার সময়ে কালিজিরা সরাসরি চিবিয়ে খেলে গলা ব্যথা কাশি থেকে উপশম পাওয়া যায়।
  • তবে কাচা কালিজিরা সরাসরি খেতে অনেকেই পারেন না। তাই কালিজিরার ভর্তা রাখতে পারেন আপনার প্রতিদিনের খাবারের মেনুতে যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগ রয়েছে তারা নিয়মিত কালিজিরা খেতে পারেন।
অনেকেই কালিজিরা গুঁড়ো করে রাখেন। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি কালিজিরার গুঁড়ো সেবনে শরীরে শক্তি যোগায়। তবে কালিজিরা সরাসরি চিবিয়ে খেলে এর ফলা ফল খুবই উপকারী।

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

অনেক বছর আগে থেকেই মধু ও কালোজিরা একসাথে খাওয়ার নানা বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। কালোজিরা ও মধু একসাথে খেওয়ায় আমাদের শারীরিক উন্নতির বিকাশ ঘটানোর একটি কার্যকরী উপায় হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কালোজিরা ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে, সঠিক নিয়মে খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম:
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ কালোজিরা তেল এবং এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে শক্তি পূর্ণতা পায়।
  • রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ কালোজিরা পাউডার ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ঘুম ভালো হয় এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।
  • এত চামচ কালোজিরা গুড়া এবং এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
  • চা পান করার সময় চায়ের সাথে একটা চমচ মধু এবং কোয়াটার চামচ কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন।
মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা:
  • কালোজিরা এবং মধু অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ দুটি খাবার। এই দুটি খাবারই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • কালোজিরা ও মধু শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তি দূর করতে ভূমিকা রাখে। কালোজিরা এবং মধু মানসিক ও শারীরিক শক্ততা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
  • কালোজিরা ও মধুরর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকে থাকা বিভিন্ন দাগ বা ময়লাক কাটিয়ে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • মধু সর্দি ও কাশির জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে পরিচিত সেই বহু বছর আগে থেকেই এবং কালোজিরার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী কাশি ও সর্দি দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্য: কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস - কালোজিরা খাওয়ার ইসলামিক নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আশা করছি কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস এবং কালোজিরা খাওয়ার ইসলামিক নিয়ম সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। কালোজিরা প্রাচীনকাল থেকে নানান রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কালোজিরা সঠিক মাত্রায় এবং নিয়মিত খেলে এর পুষ্টিগুণ আমাদের স্বাস্থ্যগত উন্নীততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাজেই নিয়মিত ইসলামিক নিয়ম মেনে কালোজিরা গ্রহণ করুন।

এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url