মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক এবং এই মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে আটির্কেলটিতে ক্লিক করেছেন। আমি আপনাদের জানাবো মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক সহ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক
আরো জানতে পারবেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো এবং পারিবারিক জীবনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রভাব। অতএব আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের উপকারি বন্ধু হিসেবে পরিগনিত হয়। মোবাইল ছাড়া আমরা একটা দিন ও কল্পনা করতে পারিনা। যার মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন যোগাযোগ, অনলাইন ক্লাস বা অনলাইন শিক্ষা গ্রহন করে থাকি পাশাপাশি কিছু সোশ্যাল মিডিয়া যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব, ম্যাসেন্জারসহ আরো অন্যান্য মাধ্যম আমাদের উপকারে ব্যবহার করে থাকি।
তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে। যার কারনে আমাদের সামাজিক, পারিবরিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ার সাথে সাথে আমাদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট করছি।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক

মোবাইল ফোন ব্যবহারে যেমন উপকারিতা রয়েছে, ঠিক তেমনি এর ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে আমাদের সামাজিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে আকৃষ্ট হচ্ছে। চলুন জেনে নেয়া যাক মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক:
১. শারীরিক সমস্যা: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে দীর্ঘসময় মোবাইল স্কিনে তাকিয়ে থাকার ফলে আমাদের চোখের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। যার কারনে আমাদের চোখ জ্বালাপোড়া, চোখের নিচে কালো দাগ, চোখে কম দেখা সহ আমাদের মাথাব্যথা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঝুঁকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ঘাড় ও কাঁধ ব্যথা হতে পারে।

অনেক বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে আমাদের হাতে টেন্ডিনিটিস, কারপাল টানেল সিনড্রোমের মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় শুয়ে থেকে ফোন ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ ব্যথা হয়ে থাকে। রাতে ফোন ব্যবহারে নীল বা সাদা আলো আমাদের চোখে অধিক পরিমানে বহন করে, যার কারনে রাতে ঘুম কম হয়।
২.মানসিক সমস্যা: আপনি একটা জিনিস খেয়াল করবেন, যখন আপনি মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকবেন। আপনার কানে আপনার মোবাইলে থাকা নোটিফিকেশনের শব্দ কানে বাজছে। এটি সাধারনত হয়ে থাকে আপনার অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার কারার কারনে। আপনার মোবাইলের প্রতি এত বেশি আকৃষ্টতা যে আপনার ফোনে নোটিফিকেশন আসেনি তাবুও শুনতে পাচ্ছেন।

আপনি কাজ করার সময় বারবার নোটিফিকেশন আসার ফলে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ে। যার কারনে আপনার মনোযোগ কাজের দিকে না গিয়ে মোবাইল ফোনের দিকে যায়। অনেক বেশি মোবাইল ব্যবহারের কারনে আপনি ভার্চুয়াল জগতে ঢুকে পড়েন ফলে বাস্তব জীবনে মানুষদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ অনেকটা কমে যায় যার কারণে আপনি একাকীত্ব বোধ করেন।
৩.সামাজিক সমস্যা: অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে বন্ধু ও পরিবারের সাথে আপনার মেলামেশা অনেকটা কমে যায়, যার কারণে তাদের সাথে আপনার সম্পর্কের দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। মোবাইল ফোনের প্রতি বেশি আকৃষ্টতা থাকার কারণে অন্য কোন কাজ বা কোন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা বা কাজ করার সময় আপনার মনোযোগের ঘাটতি দেখা দেয়।

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে আগে যে সময়ে খেলাধুলা করতেন পরিচিত, অপরিচিত অনেক মানুষের সাথে কথা হতো যার কারনে সামাজিক সম্পর্ক বজায় থাকতো পাশাপাশি আপনার শারীরিক অবস্থা ও ঠিক থাকতো। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার কারণে আপনি আমাদের সম্পর্ক থেকে দূরে এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

৪. দুর্ঘটনা বা আর্থিক সমস্যা: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ডার্কসাইট যেমন- অনলাইনে প্রতারণা, হ্যাকিং, সাইবার বোলিং এর মত সমস্যার শিকার হতে পারেন। যার কারনে আপনার আথির্ক সমস্যা বা আত্মহত্যার মতো জঘন্যপথ বেছে নিতে হতে পারে।

অতিরিক্ত মোবাইল ফোনে আকৃষ্টতা কারণে জনবহুল রাস্তা পারাপারের সময় বা গাড়ি চালানোর সময় ফোন ব্যবহারের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা প্রাণনাশের ঝুঁকি থাকতে পারে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে অপ্রয়োজনীয় খরচ বৃদ্ধি পায় যেমন- মোবাইল গেমিং বা অন্য কোন অ্যাপ এ সাইন আপ করার কারণে আপনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

৫. গোপনীয়তা লঙ্ঘন: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে তিনি বিভিন্ন অ্যাপ্স বা ওয়েবসাইটে ভিজিট করার ক্ষেত্রে ইমেইল বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন। যার কারনে কোন হ্যাকিং গ্রুপ আপনার মোবাইল ফোন হ্যাক করে আপনার মোবাইলে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। সেগুলো প্রকাশ হলে আপনার গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে।

যার কারণে আপনার আর্থিক ক্ষতি বা মানহানি হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করলে সেগুলোর মাধ্যমেও আপনার গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়

মোবাইল ফোন আমাদের একটি উপকারী বন্ধু, কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতির কারণ হতে পারে। উপযুক্ত সময়ে বা সচেতন ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। এখন আমি আপনাদের জানাবো মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে-
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক
  • প্রতিদিন কত সময় পর্যন্ত আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। দীর্ঘ সময় হলে তা পরিহার করুন।
  • কোন অ্যাপে আপনি কত সময় ব্যয় করছেন তার জন্য স্কিন টাইম ফিচার ব্যবহার করুন।
  • ঘুমানোর আগে খাওয়ার সময় এবং গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত রাখুন।
  • Do not disturb মোড ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনার ফোনে আসা বিভিন্ন ধরনের সকল নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন।
  • মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে বই পড়া, গান শোনা খেলাধুলা করা সহ পরিবারের সাথে সময় কাটান।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবগত হন এবং পরিবারকে অবগত করুন।
  • প্রতিবেশী বা পরিবারে মোবাইল ফোনের ঝুঁকি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করুন।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার ছাড়াই আপনার আনন্দ বা বিনোদন উপভোগ করার উপায় খুঁজুন।
  • মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সুষম খাবার গ্রহণ করুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
  • মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার কমাতে পরিবার ও বন্ধুদের সাহায্য নিন এবং ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন করুন।
প্রিয় পাঠক, আশা করছি উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করলে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ দখল করে আছে। ছাত্র-ছাত্রী ক্ষেত্রে ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়ছে। মোবাইল ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চলুন জানি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে-

ছাত্র জীবনে মোবাইলে অপকারিতা বলতে গেলে প্রথমে আসে পড়াশোনার ক্ষতি। মোবাইলে আসা নোটিফিকেশন, সোশ্যাল মিডিয়ার অধিক ব্যবহার, গেমিং যা ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগের বেঘাত ঘটায় এবং তা পড়াশোনার উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অনেক সময় নষ্ট হয় যা পড়াশোনায় দিলে অনেক কিছু শেখা যায়।

একাধারে অনেক সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে মোবাইলের প্রতি একধরনের আসক্তি জন্ম হয়। এই আসক্তি একসময় অনেক বড় আকার ধারন করে। চোখের সমস্যার পাশাপাশি মাথা ব্যথা হয়, যার ফলে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে বাধা সৃষ্টি হয় এমনকি পড়াশোনা করতে ইচ্ছা শক্তি হারিয়ে যায়।

ছাত্র জীবন শিখার বয়স এবং এই বয়সে সবাই অনেকটা আবেগী হয়ে থাকে। যার ফলে বিভিন্ন ডার্ক ওয়েব সাইট এবং বিভিন্ন পর্ণ ওয়েব সাইটের সাথে পরিচিত হয়। যা একটা সময় আসক্তিতে রুপান্তর হয়। নিজের অজানতে বিভিন্ন সাইবার অপরাধের সাথে জরিত হয়ে পড়ে। যার কারনে পড়াশোনার ক্ষতি হয় এবং বড় ধরনের আথির্ক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

রাত জেগে ফোন ব্যবহারের ফলে ঘুম কম হয় এবং তা ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিনত হয়। ঘুম কম হওয়ার কারনে পড়াশোনার ক্ষতি হবেই সাথে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কাজেই আমাদের উচিত ছাত্র জীবনে প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার না করা। শিক্ষার্থীরা সচেতন হওয়ার পাশাপাশি বাবা আমাদেরও উচিত তার ছেলে মেয়ের প্রতি সচেতন হওয়া।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো

বতর্মান সময়ে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিগনিত হয়। মোবাইল ফোন ছাড়া আমরা একটি দিন কেন একটি সেকেন্ড ও কল্পনা করতে পারিনা। কথা বলা, সবার সাথে যোগাযোগ করা, বিভিন্ন কাজে বা বিনোদনের জন্য আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার ও অসচেতনায় মোবাইলের ব্যবহার আমাদের ক্ষতির কারন। নিম্নে কিছু মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হলো:
  • মোবাইল ফোন আমাদের সময় নষ্ট করে।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে আমাদের পড়াশোনায় ঘাটতে হয়।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে আমাদের চোখে সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে চশমা ব্যবহার করতে হয়।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের মনোযোগ নষ্ট হয় হলে আমাদের ভেতরে উদ্বেগ ও বিষন্নতা দেখা দেয়।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে আশেপাশে মানুষদের সঙ্গে কথা বলা অনেকটা কমে যায় ফলে তাদের সাথে দূরত্ব বেড়ে যায় এবং এবং একাকীত্ব বোধ হয়।
  • একাকীত্ব বোধ করার কারণে অনেকে নেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। যা একটা সময় অনেক বড় আকার ধারণ করে।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন ওয়েবসাইট গিয়ে অসামাজিক কর্মে লিপ্ত হয় এবং বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপ এর মাধ্যমে আর্থিক দ্বন্ডের সম্মুখীন হয়।
  • মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ফোন থেকে অতিরিক্ত ক্ষতিকর তরঙ্গ ত্বরান্বিত হয় যা আমাদের শারীরিকভাবে ক্ষতি করে।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহারে বা তৈরির ফলে ইলেকট্রনিক বর্জ্য অনেক বেড়ে যায়, একটা সময় পরিবেশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পারিবারিক জীবনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রভাব

একটা সময় ছিলো যখন পরিবারের অবসর সময় কাটতো একে অপরের সাথে গল্প বা বিভিন্ন আলাপ আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি পারিবারিক কোন সমস্যা ছাড়া একে অঅপরের সাথে কথা বলে না। সারাদিন ফোনেই সময় কাটাতে ব্যস্ত থাকে। যা পরিবারের উপর মারাত্বক প্রভার ফেলে। নিম্নে পারিবারিক জীবনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
পারিবারিক জীবনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রভাব
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ বা আলাপ আলোচনা অনেকটা কমে যায় যার ফলে একে অপরের সাথে পরামর্শ বা বোঝাপড়ার দ্বিমত ঘটে। এর কারনে পরিবারের মধ্যে একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়।

পারিবারিক আলাপ আলোচনার মধ্যে, খাবার সময় এমনকি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাঝে অনেকেই ফোন ব্যবহার করে থাকে যার ফলে পরিবারের থাকা অন্য ব্যক্তির বিরক্তি অনুভব হয়। যার ফলে পরিবারের সুখ শান্তির অবনতি ঘটে।

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে পরিবারের মধ্যে যে সুখ শান্তির অবনতি হয়। তার ফলে পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য মানসিকভাবে অশান্তিতে ভোগেন।

পরিবারের বড় সদস্যদের অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার দেখে পরিবারে থাকা ছোট শিশুদের উপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর ফলে শিশুরা ও অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা শিখে যায় এবং তাদের মানসিক বিকাশে অবনতি ঘটে।

লেখকের মন্তব্য: মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক

প্রিয় পাঠক, আশা করছি মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর ৫টি দিক সহ অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নীতিবাচক প্রভাব ফেলে। কাজেই আমাদের ফোন ব্যবহারের সচেতন এবং প্রয়োজনীয় দরকার ছাড়া ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়।

এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url