হোন্ডা মোটরসাইকেল দাম ২০২৪ বাংলাদেশ - হোন্ডা 125 সিসি বাংলাদেশ প্রাইস
হোন্ডা মোটরসাইকেল দাম ২০২৪ বাংলাদেশ এ অনেক বেশি প্রচলিত এবং হোন্ডা 125 সিসি বাংলাদেশ বাইক প্রাইস আমাদের সবার সাদ্ধের মধ্যে হওয়ায় সব পেশার মানুষ কিনতে পারেন। আমি আপনাদের জানাতে চলেছি, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সকল হোন্ডা মোটরসাইকেল দাম।
সম্পর্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, হোন্ডা মোটরসাইকেল দাম ২০২৪ বাংলাদেশের পেক্ষাপটে জানতে পারবেন।
হোন্ডা মোটরসাইকেল দাম ২০২৪ বাংলাদেশ - হোন্ডা বাইক বাংলাদেশ
হোন্ডা এমন এক ব্যান্ডের মোটরসাইকেল ছোট থেকে বড় সব ধরনের মানুষ এই ব্যান্ডের সাথে পরিচিত। হোন্ড মোটরসাইকেল দেখতে যেমন স্টাইলিশ, তেমনি সবার সাথে মানানসই। হোন্ডা ব্যান্ডের মোটরসাইকেল অন্যান্য ব্যান্ডের থেকে তুলনা মূলক দাম কম এবং যন্ত্রাংশ অনেক ভালো মানের হয়ে থাকে। নিম্নে বাংলাদেশে কিছু হোন্ডা মোটর সাইকেলের দাম দেওয়া হলো-
হোন্ডা 125 সিসি বাংলাদেশ প্রাইস - হোন্ডা এসপি সাইন নিউ মডেল - হোন্ডা বাইক 125 সিসি দাম - হোন্ডা এসপি সাইন 125 সিসি - হোন্ডা সাইন 125 সিসি দাম বাংলাদেশ - হোন্ডা এসপি 125 -হোন্ডা বাইক 125 সিসি 2024
হোন্ডার যত ধরনের মোটর সাইকেল রয়েছে তার মধ্যে ১২৫ সিসি বাইক রয়েছে ২ টি। একটি হলো Honda CB Shine SP CBS এবং অপরটি হলো Honda SP মডেলের। দুটি বাইক যথেষ্ঠ কোয়ালিটি ফুল এবং দেখেতে ও আর্কষনীয়। সব ধরনের মানুষ এই ১২৫ সিসির বাইক দুটি চালাতে পছন্দ করেন এবং অনেক জনপ্রিয়। নিম্নে বাইক দুটির দাম ও ফিচার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
আরো পড়ুনঃ ট্রাফিক আইন ও জরিমানার তালিকা
Honda CB Shine SP CBS -125 cc - দাম - ১,৫১,০০০ টাকা
এই বাইকটির দৈর্ঘ্য ২০০৭ মিমি, প্রস্থ ৭৬২ মিমি এবং উচ্চতা ১০৮৫ মিমি। মাটি থেকে দূরত্ব ১৬০ মিমি। যার কারনে সব রাস্তায় সমান তালে চালানো যায়। এই মোটরসাইকেলটির ওজন ১২৮ কেজি। ফুল ট্যাংকি তেল ধরে সাড়ে ১০ লিটার। গাড়িটির সর্বোচ্চ ইঞ্জিন শক্তি ১০.৩০ পিএস। কিক এবং সেল্ফ দুই অবস্থাতেই ইঞ্জিন চালু করা যায়।
Honda CB Shine SP CBS এর গিয়ার সংখ্যা ৫ টি। নিচের দিকে ১ম গিয়ার বাকি সব উপরে। এই মোটর সাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৯৩ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। এটিতে রয়েছে সিবিএস ব্রেক সিস্টেম, সামনের চাকায় ২৪০ মিমি এবং পিছনের চাকায় ১৩০ মিমি সিবিএস। সামনে ও পিছনের চাকা দুটি টিউবলেস হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন
টায়ার রিং সম্পর্ন অ্যালাই হুইল দিয়ে তৈরী। সামনে থাকা হেড লাইট ৩৫ ওয়াটের। এই মোটর সাইকেল তিনটি কালারের হয়ে থাকে- লাল ম্যাট, কালো এবং নীল ম্যাট হয়ে থাকে। Honda CB Shine SP CBS ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলের অফিসিয়াল প্রাইজ ১,৫১,০০০ টাকা। লোকাল মার্কেটে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা কমে পাবেন।
Honda SP -125 cc - দাম - ১,৬৫,০০০ টাকা
এই বাইকটির দৈর্ঘ্য ২০২০ মিমি, প্রস্থ ৭৮৫ মিমি এবং উচ্চতা ১১০৩ মিমি। মাটি থেকে দূরত্ব ১৬০ মিমি। যার কারনে পানিসহ সব রাস্তায় সমান তালে চালানো যায়। এই মোটরসাইকেলটির ওজন ১১৬ কেজি। ফুল ট্যাংকি তেল ধরে ১১ লিটার। গাড়িটির সর্বোচ্চ ইঞ্জিন শক্তি ১০.৮০ পিএস বা ৭৫০০ আরপিএম। কিক এবং সেল্ফ দুই অবস্থাতেই ইঞ্জিন চালু করা যায়।
Honda CB Shine SP CBS এর গিয়ার সংখ্যা ৫ টি। নিচের দিকে ১ম গিয়ার বাকি সব উপরে। এই মোটর সাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৯৩ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। এটিতে রয়েছে সিবিএস ব্রেক সিস্টেম, সামনের চাকায় ২৪০ মিমি এবং পিছনের চাকায় ১৩০ মিমি সিবিএস। সামনে ও পিছনের চাকা দুটি টিউবলেস হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ Brta লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
টায়ার রিং সম্পর্ন অ্যালাই হুইল দিয়ে তৈরী। সামনে থাকা হেড লাইট এলইডি ডিসি। এই মোটর সাইকেল ৪ টি কালারের হয়ে থাকে- লাল ম্যাট, কালো, নীল এবং নীল ম্যাট হয়ে থাকে। Honda SP ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলের অফিসিয়াল প্রাইজ ১,৬৫,০০০ টাকা। লোকাল মার্কেটে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা কমে পাবেন।
হোন্ডা লিভো মোটরসাইকেল দাম ২০২৪
হোন্ডা ব্র্যান্ডের আরও একটি জনপ্রিয় সিরিজ হল হোন্ডা লিভো। তুলনামূলক ভাবে এই মোটরসাইকেলের দাম কম হওয়ায় সবাই লিভো সিরিজ বেশি পছন্দ করেন। এই হোন্ডা লিভো সিরিজের আবার দুই ধরনের বাইক রয়েছে। একটি লিভো ড্রাম সিবিএস এবং লিভো ডিস্ক সিবিএস। বর্তমানে ২ টি মোটরসাইল অধিক জনপ্রিয়।
- Honda Livo Durm CBS - 110 cc - ১,২২,০০০ টাকা।
- Honda Livo Disc CBS -110 cc ১,৩৬,০০০ টাকা।
হোন্ডা লিভো ড্রাম সিবিএস- ১১০ সিসি এবং হোন্ডা লিভো ডিস্ক সিবিএস- ১১০ সিসি:
হোন্ডা লিভো ১১০ সিসি হওয়ায় সবাই এটি চালাতে পারে। ইঞ্জিন পাওয়ার ৮.৪৩। এটি ৪ গিয়ার বিশিষ্ট একটি মোটরসাইকেল। এটিতে জ্বানালী ক্যাপাসিটি সাড়ে ৮ লিটার। লিভো ডিস্কের ওজন ১১৩ কেজি এবং লিভো ড্রামের ওজন ১১২ কেজি। ভুমি থেকে গাড়ির ইঞ্জিনের দূরত্ব ১৮০ মিমি। মোটরসাইকেলটি লম্বায় ২০২০ মিমি, প্রস্থ ৭৩৮ মিমি এবং উচ্চতায় ১০৯৯ মিমি।
লিভো সিরিজ কিক এবং স্লপ স্টার্ট করা যায়। সামনে ডিজিটাল এবং অ্যানালক মিটার রয়েছে। সবোর্চ্চ গতিসীমা ৮৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। সামনে ও পিছনের চাকায় সিবিএস ব্রেক সিস্টেম রয়েছে। দুটি চাকা টিউবলেস। এই সিরিজের ৩ টি কালার রয়েছে- ম্যাট লাল, ম্যাট নীল এবং ম্যাট ধূসর কালারের হয়ে থাকে।
হোন্ডা সাইন নিউ মডেল ১০০ সিসি
Honda shine-100cc - দাম - ১,০৭,০০০ টাকা
প্রথমে আমরা যে মোটরসাইকেলের কথা বলবো, সেটি হলো হোন্ডা সাইন-১০০ সিসি। এটির ইঞ্জিন নতুন করে সংযোজন করা হোন্ডা ইঞ্জিন-১০০সিসি এক সিলিন্ডা বিশিষ্ট। ইঞ্জিন শক্তি ৭.১ পিএস।সেল্ফ এবং কিক দুই ভাবেই স্টার্ট করা যায়। এতে গিয়ার সংখ্যা ৪ টি। এটির টায়ার রিং সম্পর্ন কালো অ্যালাই হুইল দিয়ে তৈরি। সামনে এবং পিছনের চাকা সিবিএস ব্রেক সিস্টেম। সামনের চাকা ১৩০ মিমি এবং পিছনের চাকায় ১১০ মিমি সিবিএস।
মাটি থেকে মোটরসাইকেলের ইন্জিনের উচ্চতা ১৬৮ মিমি মিটার। ফলে পানি সহ যেকোন রাস্তায় খুব ভালো ভাবেই চালানো যায়। বসার জন্য আরাম দায়ক একটি সিট রয়েছে, যার আয়তন ৬৬৭ মিমি। যেখানে খুব আরাম করে ২ থেকে ৩ জন বসা যায়। এই মটোরসাইকেলের স্বকাপ সিস্টেম অনেক ভালো, উচু নিচু সব জায়গায় সাবলীল ভাবে চলতে পারে।
এই মোটরসাইকেলটির দৈঘ্য ১৯৯৫ মিমি ও প্রস্থ ৭৫৮ মিমি এবং উচ্চতায় ১০৫০ মিমি। ওজন ৯৯ কেজি। ফুল ট্যাংকি তেলের পরিমান ৯ লিটার। হোন্ডা সাইন-১০০ সিসি বাইক এক লিটার তেলে ৬০ কিমি পর্যন্ত মাইলেজ দিয়ে থাকে। হেড লাইট ৩৫ ওয়াট। এই মোটরসাইকেল টি ৩ টি কালারের হয়ে থাকে - লাল, নীল এবং ধূসর বা গ্রে হয়ে থাকে।
হোন্ডা ড্রিম নিও বাংলাদেশ প্রাইস - হোন্ডা ড্রিম ১১০ সিসি - হোন্ডা ড্রিম নিও দাম - হোন্ডা ড্রিম ১১০ রিভিউ
Honda Dream - 110 cc - দাম - ১,১৬,০০০ টাকা
হোন্ডা ড্রিম -১১০ সিসি। এটি 110 CC HET BS-IV Reliable বিশিষ্ট এক সিলিন্ডা ইঞ্জিন। ইঞ্জিন শক্তি ৮.৩৬ পিএস। সেল্ফ এবং কিক দুই ভাবেই স্টার্ট করা যায়। এতে গিয়ার সংখ্যা ৪ টি। এটির টায়ার রিং সম্পর্ন কালো অ্যালাই হুইল দিয়ে তৈরি। সামনে এবং পিছনের চাকা সিবিএস ব্রেক সিস্টেম। সামনের চাকা ৮০ থেকে ১০০ মিমি এবং পিছনের চাকায় ও ৮০ থেকে ১০০ মিমি সিবিএস।
মাটি থেকে মোটরসাইকেলের ইন্জিনের উচ্চতা ১৮০ মিমি মিটার। ফলে পানি সহ যেকোন রাস্তায় খুব ভালো ভাবেই চালানো যায়। বসার জন্য আরাম দায়ক একটি সিট রয়েছে, যার আয়তন ৬৬৭ মিমি। যেখানে খুব আরাম করে ২ থেকে ৩ জন বসা যায়। এই মটোরসাইকেলের স্বকাপ সিস্টেম অনেক ভালো, উচু নিচু সব জায়গায় সাবলীল ভাবে চলতে পারে।
এই মোটরসাইকেলটির দৈঘ্য ২০২০ মিমি ও প্রস্থ ৭৩৭ মিমি এবং উচ্চতায় ১০৬১ মিমি। ওজন ১০৭ কেজি। ফুল ট্যাংকি তেলের পরিমান ৮ লিটার। হোন্ডা ড্রিম-১১০ সিসি বাইক এক লিটার তেলে ৭০ কিমি পর্যন্ত মাইলেজ দিয়ে থাকে। হেড লাইট ৩৫ ওয়াট। এই মোটরসাইকেল টি ৩ টি কালারের হয়ে থাকে - লাল, নীল এবং কালো হয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য: হোন্ডা মোটরসাইকেল দাম ২০২৪ বাংলাদেশ - হোন্ডা 125 সিসি বাংলাদেশ প্রাইস
প্রিয় পাঠক, হোন্ডা মোটরসাইকেল দাম ২০২৪ বাংলাদেশ এ কেমন এবং হোন্ডা 125 সিসি বাংলাদেশ প্রাইস সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। মোটরসাইকেল আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি যান। মোটরসাইকেল অতিরিক্ত গতিতে চালালে বড় এক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সাবধানতার সাথে চালানো উচিত এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলা উচিত।
এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।
অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url