পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় - পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় ও পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে প্রত্যেকটি মেয়ের কমন একটি প্রশ্ন। আজ আমি আপনাদের জানাবো পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় ও পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে সে সর্ম্পকে। এছাড়া আরো জানাবো পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবার, পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট ও পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় ঔষধের নাম।
আরো জানতে পারবেন- পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা কমানোর উপায় এবং পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয় তা নিয়ে বিস্তারিত। আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করছি।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, পিরিয়ড হলো নারীর স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া। পিরিয়ড যা ঋতুস্রাব বা মাসিক নামেও পরিচিত। পিরিয়ড সম্পর্কে ছোট বড় সকলের জানা উচিৎ কারন বর্তমানে পিরিয়ড লজ্জার বিষয় নয় বরং এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা অর্জনের মাধ্যমে বড় বড় রোগের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য সতর্ক থাকা যাবে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় - পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় দোয়া
পিরিয়ড নারীদের জন্য নেয়ামত। প্রত্যেক মাসে সাধারণত ৩ দিন থেকে ৫ দিন পর্যন্ত পিরিয়ড থাকতে পারে। এই দিন গুলোতে হাত-পা, কোমর, তল পেটে প্রচুর ব্যথা থাকে। পিরিয়ডের ব্যথার সময় ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ খাওয়া একদমই উচিত নয়। ইসলামে কিছু দোয়া রয়েছে যা আমদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শিখিয়েছেন সে গুলো পাঠের মাধ্যমে এই ব্যথা নিরাময় হয়।
ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম, এই ধর্মে সব বিষয়ের সমাধান আছে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি মুসলিম ধর্মের অনুসারী হন তাহলে অবশ্যই আপনার এই বিষয়ে জানা উচিৎ।
দোয়া ১
উচ্চারণ : আউজু বি-ইজ্জাতিল্লহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু।
আরো পড়ুনঃ তুলসী পাতার উপকারিতা
এর অর্থ : আল্লাহর নামে আমি আল্লাহর অসীম সম্মান ও তাঁর বিশাল ক্ষমতার অসিলায় আমার অনুভূত এই ব্যথার ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
দোয়া ২
উচ্চারণ : আল- আজিমু
এই দোয়াটি আমল করার নিয়ম : এক গ্লাস পানিতে ১ বার দরূদে ইব্রাহীম এবং আল্লাহর গুনবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করে ফু দিয়ে খেলে মাসিক এর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দোয়া ৩
উচ্চারণ : ইয়া মুতাআল বা ইয়া মুতায়ালী
আরো পড়ুনঃ রাতে মধু খাওয়ার নিয়ম
এই দোয়াটি আমল করার নিয়ম : মাসিক চলাকালে আল্লাহর গুনবাচক নামটি ১২১ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে খেতে হবে। মাসিক চলাকালীন দিন গুলো তে প্রতিদিন একবার খেলে ব্যথা কমে যাবে।
নবী (সাঃ) বলেছেন ব্যথার স্থানে দান হাত রেখে এই দোয়া ৭বার পাঠ করলে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও যেহেতু হায়েজ এর সময় নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ করা যায় না। তাই এই সময় বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা যায়। আল্লহর কাছে মাফ চাওয়ার সব থেকে উপযোগী সময়।
যদিও এই সময় শরীর নাপাক থাকে বলে অনেকেই মনে করেন দোয়া করা যায় না, এই ধারনা টি ভুল। মেয়েদের জন্য দোয়া করার উত্তম সময়। হায়েজ অবস্থায় নারীদের কষ্ট হলেও, মুখে যত বেশি দোয়া, দুরুদ, যিকির ইস্তেগফার পাঠ করা যায় ততই সওয়াব পাওয়া যায়।
পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে
খুব কম ই নারী আছেন যারা একবারও এই ব্যথার অনুভূতি পাননি এমন নারী নেই। ছোট বড় সব বয়সের নারীদের পিরিয়ড এর ব্যথা হয়। পিরিয়ড এর ব্যথা সাধারণত ২ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। পিরিয়ড শুরু হয়ার ৪ থেকে ৫ দিন আগে থেকেও ব্যথা হতে পারে।
পিরিয়ড চলাকালে তলপেটে এবং উরুতে সবচেয়ে বেশি ব্যথা হয় অনেক সময় খিচুনি ধরনের ব্যথাও হতে পারে এই ব্যথা খুবই স্বাভাবিক। শরীরের গঠন এবং ধরনের উপর নির্ভর করে মাসিকের ব্যথা অনুভূত হয়। হালকা বা সহনীয় ব্যাথা হলে গরম পানির ছেক দিলে ব্যথা কিছুটা কমে।
তবে কারো যদি মাত্রা অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব হয় তখন এটিকে বলা হয় ডিসমেনোরিয়া বা পেইনফুল পিরিয়ড। অথবা দীর্ঘকালীন ধরে ব্যথা অনুভূত হলে রক্তপাত বেশি হলে এরকম পরিস্থিতিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া দরকার।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর খাবার
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হল খাবার। খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরকে কন্ট্রোল করা যায়। পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নির্দিষ্ট কোন ব্যথার ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। এ সময় কিছু ঘরোয়া টোটকা কাজে দেয়।
প্রিয় পাঠক আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনে গিয়েছেন পিরিয়ডের ব্যথা সাধারণত কতদিন থাকে এবং পিরিয়ড কত দিন থাকে। এখন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য কি কি খাবার খেলে স্বস্তি পাওয়া যাবে।
পিরিয়ডের দিনগুলো একটা নারীর জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। এই সময় শরীর থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন আয়রন, পানি, পটাশিয়াম এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এর ঘাটতি দেখা দেয়। এইসব ঘাটতি পূরণ করা যায় খাবারের মাধ্যমে। আসুন জেনে নেই পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমানোর খাবারের তালিকা
পানিঃ পিরিয়ড চলাকালীন শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ক্ষয় হয়ে যায় রক্তের মাধ্যমে। এই শূন্যতা পূরণ করতে প্রতিদিন যে পরিমাণ পানি পান করা হয় পিরিয়ড চলাকালীন এর চেয়ে বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। দূষিত টক্সিন বের হয়ে গেলে পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমে যায়
চা-কফিঃ পিরিয়ড চলাকালীন উষ্ণ গরম জাতীয় খাবার যেমন চা কফি সুপ পান করলে পিরিয়ডের ব্যথা কম হয়।
ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ইত্যাদি উপাদান থাকে। যা সাধারণত শরীরের জন্য এমনিতেই অনেক ভালো কারণ ভালো ক্যালরি শরীরে যোগায়। পিরিয়ড চলাকালে ডার্ক চকলেট খাওয়ার ফলে পিরিয়ডের ব্যথা কম হয়। শরীরের ঘাটতিও পূরণ হয়
আদাঃ আদা একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে যা পিরিয়ড চলাকালীন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ শরীরের জন্য। রক্তে খনিজের পরিমাণ ব্যালেন্স করতে আগারজুরি নেই। পিরিয়ড চলাকালে ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এক টুকরো আদা কুচি করে গরম পানি দিয়ে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে যায়।
কলাঃ পটাশিয়ামে ভরা কলা এমনিতেই শরীরের জন্য অনেক ভালো। ইনস্ট্যান্ট এনার্জি তৈরি করতে কলা খুবই উপকারী। যেহেতু পিরিয়ডের সময় নারীদের শরীর দুর্বল থাকে এবং পটাশিয়ামের অভাব দেখা দেয়, মূলত সে কারণেই পিরিয়ডে ব্যথা হয়। এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পিরিয়ডের দিনগুলোতে প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া উপকারী।
সবুজ শাক-সবজিঃ দেহের হজম শক্তি ভালো রাখতে ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন। সবুজ শাক সবজিতে অনেক বেশি ফাইবার থাকে যা দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। পিরিয়ড চলাকালে হজম শক্তি কম হয় সে কারণেও তলপেটে ব্যথার হতে পারে। এ সময় সবুজ শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন আয়রন এবং আশ যুক্ত খাবার হজম শক্তি উন্নত রাখে যা পিরিয়ড চলাকালে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
দইঃ দই একটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার। পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে অনেক নারীর ইস্টজনিত সমস্যা থাকতে পারে। তাই খাবার তালিকায় পিরিয়ড চলাকালীন দিনগুলোতে অল্প পরিমাণ দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট - পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় ঔষধের নাম
আমাদের দেশের নারীরা সাধারণত পিরিয়ড চলাকালে যারা ,ব্যথায় ভুগেন তারা নাপা ও প্যারাসিট্যামলের মতো ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করে পিরিয়ডের ব্যথা থেকে উপশম পেতে চেষ্টা করেন।তবে পিরিয়ড কালীন সময়ে কোন অসুদ সেবন না করাই ভালো। এর সাইড ইফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডিক্লোমল ট্যাবলেট (Diclomol Tablet) মাসিকের সময় অতিরিক্ত ব্যথা এবং বাধা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহৃত হয়।
নারীদের বয়সের ধরনের উপর নির্ভর করে ব্যথার ওষুধ সেবন করা উচিত। সেক্ষেত্রে ব্যথা যদি কম থেকে আস্তে আস্তে বেশি হতে থাকে এবং অতিরিক্ত পর্যায়ে ব্যথা হলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী "আইবুপ্রফেন" ৪০০ মি গ্রা পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে এটি সেবন করার উড়বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা কমানোর উপায়
পিরিয়ডের সময় ব্যথায় গরম পানির সেঁক খুব উপকারী। হট ব্যাগের মধ্যে গরম পানি নিয়ে পেটে সেঁক দিলে ব্যথা কমে যায়। পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকর। পেঁপে তে বিদ্যমান ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালশিয়াম ও কিছু উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে যা পিরিয়ড চলাকালে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে তরমুজ খুব উপকারী। তরমুজে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা প্রদাহনাশ করতে সাহায্য করে। শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে পিরিয়ডের সময়ে তরমুজ খাওয়া জরুরি।
পিরিয়ড চলাকালীন সাধারণত জরায়ুর পেশির সংকোচন-প্রসারণের ফলে ব্যথা হয়। এই ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আনারস। আনারসে ব্রোমেলেইন নামক এক ধরনের এনজাইম থাকে, যা জরায়ু পেশীকে রিল্যাক্স করার মাধ্যমে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি, যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে।
পিরিয়ডের ব্যথা কেন হয়
কমবেশি সব নারীদেরই পিরিয়ডের ব্যথা হয়। এই ব্যথা এক এক সময় এক এক রকমের হয়। কোন মাসে অনেক বেশি ব্যথা হয় আবার কোন মাসে খুব কম ব্যথা হয়। অসহনীয় এই ব্যথাটি কেন হয় এটা সবারই জানা উচিত এ থেকে গুরুতর রোগ হলো কিনা বা ব্যথা হলে ভয় পাওয়ার কারণ আদৌ আছে কিনা সে বিষয়ে সচেতন হওয়া যাবে।
- মাসিকের সময় জরায়ুর আস্তরণে এক ধরনের হরমোন উৎপন্ন হয়। এই হরমোন গুলোকে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস বলা হয়। এই হরমোনের মতো পদার্থটি জরায়ুর আস্তরণকে সংকুচিত করে যার ফলে ব্যথা অনুভূত হয়।
- জরায়ুতে এক ধরনের টিস্যু থাকে। পিরিয়ডের আগে এই টিস্যুগুলো বৃদ্ধি পায় এমনকি ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং পেলভিক অঞ্চলের অন্যান্য অঙ্গগুলোতে বৃদ্ধি পেতে পারে। এই অবস্থাকে এন্ডোমেট্রিওসিস বলা হয়। যা পিরিয়ডের সময় ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভূতির কারণ।
- যখন টিস্যু সাধারণত জরায়ুর অভ্যন্তরে রেখাযুক্ত থাকে তা জরায়ুর পেশীবহুল প্রাচীরে বৃদ্ধি পায় এই অবস্থা কে অ্যাডেনোমায়োসিস বলে। এই অবস্থার কারনে অনেক রক্তপাত ও ব্যথা অনুভূত হয়।
- অনেক নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয় পানি জমে অথবা তরল রস জমা থাকে যেটাকে সিস্ট বলা হয়। এই সিস্ট ডিম্বাশয়ে বিকাশ লাভ করে। মাসিক এর সময় এই তরল পদার্থের থলে ফেটে গেলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়।
- থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে এবং মাসিকের সময় ব্যথা হয়।
- উচ্চ মাত্রার স্ট্রেস, উচ্চ রক্ত চাপ অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ব্যাঘাত ঘটায় যা মাসিকের ব্যথা শুরু করতে পারে।
নারীদের শরীরে হরমোনের ব্যালেন্স কমবেশি হওয়ার কারণে পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা অনুভূত হয়। জরায়ু গঠনকারী টিস্যু থেকে পিরিয়ড চলাকালে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় যার কারণে ব্যথা হয়। পিরিয়ডের সময় প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস নামে এক ধরনের পদার্থ জরায়ুর পেশিকে সংকুচিত করে এবং প্রদাহ তৈরি করে।
লেখকের মন্তব্য: পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় - পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে
প্রিয় পাঠক, আশা করছি পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় ও পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে সে সম্পকে অবগত হয়েছেন। পিরিয়ড নারীর স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া হলেও, এটি সমাজে প্রায়শই লজ্জাজনক বা অপবিত্র বিষয় হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে অনেক নারী পিরিয়ড সম্পর্কে খোলাখুলিভাবে কথা বলতে ভয় পায়। নারীদের উচিত তাদের পিরিয়ড সম্পর্কে খোলাখুলিভাবে কথা বলা এবং এটিকে লজ্জা বা অপবিত্রতা হিসেবে না দেখা। লজ্জা নয় জানতে হবে।
এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।
অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url