ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় - ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি
প্রিয় পাঠক, ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় ও ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি সে বিষয়ে জানতে চেয়ে আর্টিকলটিতে ক্লিক করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যেখানে ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় ও ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি এবং ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক ও গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরো জানতে পারবেন, ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা এবং ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাই সম্পূণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি ড্রাগন বিষয়ে সকল তথ্য জানতে পারবেন।
ভূমিকা
ক্যাকটাস প্রজাতির একটি ফল ড্রাগন। অনেকেই এই ফলকে পিতায়া বলে ডাকে। আমাদের দেশে এর মোটামুটি ২ ধরনের ড্রগন পাওয়া যায়। একটি ভিতরে সাধা এবং কালো বীজ, অন্যটি ভিতরে লাল এবং কালো বীজ। সাদাটার থেকে লাল ড্রাগন খেতে বেশি সুস্বাদু হয়। ড্রাগন ফলকে ইংরেজীতে ড্রাগন ফ্রুট বা পিটাহায়া বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা
ড্রাগন ফল বিভিন্ন সালাদে যোগ করা যায়। ড্রাগনের জুস বা স্মুদি খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এছাড়া ও ড্রাগন ফল বিভিন্ন ডির্জাড বা আইসক্রিম তৈরীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ড্রাগনের আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তার জন্য সমস্ত আর্টিকেলটি সময় নিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়ুুন। আশা করা যায় উপকৃত হবেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এবং শরীরের রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খুবই উপকারী। প্রত্যেকটা ফল খাওয়ার নিদিষ্ট নিয়ম ও সময় রয়েছে। যেই সময় বা নিয়মগুলো মেনে চললে অনেক বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও সময় সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। চলুন জেনে নেয়া যাক-
আমাদের মাঝে অনেকেই ড্রাগন ফল খেতে পছন্দ করেন কিন্তু এর খাওয়ার সময় সম্পর্কে অনেকেই জানেন না এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে ও অবগত নন। ড্রাগন ফল খেলে ক্যান্সারের মত মরণ ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। শরীরে কোন রোগ খুব সহজেই বাসা বাঁধতে পারে না। কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ড্রাগন ফল খুবই উপকারী।
ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি উপাদান থাকে যা খেলে ডায়াবেটিকস, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিয়ে থাকে। ড্রাগন ফলে ফাইবার উপাদান থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে সকালবেলা খাওয়ার আগে খেয়ে নেওয়া বা খাবার গ্রহণ করার দুই ঘন্টা পর খাওয়া।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের কমলা খাওয়ার উপকারিতা
এই সময়ে খেলে খাদ্য পরিপাকের বিভিন্ন এনজাইম দ্রুত কাজ করে। শুধু ড্রাগন ফল নয় অন্যান্য ফল খাওয়ার আগেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। খাবার খাওয়ার পরে ড্রাগন ফল খেলে তা খাদ্য পাকস্থলীতে জমা না হয়ে অন্য স্থলীতে জামা হয় যার কারনে ক্ষতিকর এসিড তৈরি হয়। যা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারণ হয়ে দাড়ায়।
যার ফলে পেট ব্যাথা বা পেট ফোলার মত সমস্যা সৃষ্টি করে। যদি খাবার খাওয়ার পরে ফল খেতে চান তাহলে ৩০ মিনিট পর খেতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা আগে অথবা পরে। যদি এভাবে ড্রাগন ফল খান তাহলে সব উপকরণ গুলো শরীরে বিদ্যমান থাকবে।
ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি - Dragon fol er dam price - ড্রাগন ফলের দাম
ড্রাগন ফলের দাম সব সময় একরকম থাকে না। কখনো বৃদ্ধি পায় আবার কখনো কমে যায়। একটি সম্পর্ণ নির্ভর করে কোথায় থেকে কিনছেন, কি পরিমান কিনছেন, উৎপাদন, রপ্তানির এবং কোন প্রজাতির ড্রগন কিনছেন উপর নির্ভর করে দাম হয়ে থাকে। তবে স্থানীয় লোকাল বাজারগুলোতে দাম কিছু টা কম পাওয়া যায়। চলুন দাম সম্পর্কে জানা যাক।
বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ অনেক কম হয়ে থাকে। যার করনে এবং রপ্তা এবং আমদানি দুটোই অনেক কম হয়ে থাকে। এর ফলস্বরূপ বাংলাদেশে এই ফলের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। তবে বাজারে কিছু সাধারন প্রজাতির ড্রাগন ফল পাওয়া যায়, যেগুলোর দাম অনেক কম হয়ে থাকে। সাধারন প্রজাতির ড্রাগন ফল খেতে অতটা সুস্বাদু হয় না এবং পুষ্টিকর ও কম হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বিটরুটের দাম কত
ড্রাগন ফল কেনার আগে অবশ্যই জানা দরকার কোন প্রজাতির ড্রাগন ফল কিনছেন এবং কিনার আগে অবশ্যই এর দাম সম্পর্কে অবগত হওয়া উচিত। কেননা ড্রগন ফলে দাম সবসময় এক রকম থাকে না এবং প্রজাতি ভেদে এর দাম ভিন্ন হয়ে থাকে। সঠিক দাম জানার জন্য লোকাল মার্কেটে খোঁজ নিন।
এছাড়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অনলাইন স্টোরগুলোতে এর দাম দেখে, লোকাল মার্কেটের সাথে তুলনা করুন সঠিক দাম সম্পর্কে অবগত হবেন। আজ জুন মাসের ৭ তারিখ ঢাকা বিভিন্ন খোলা বাজারে সাধারন এই ড্রাগন ফলের দাম মোটামুটি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি এবং উন্নত প্রজাতির ড্রাগন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি।
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক - dragon fruit side effects
ড্রাগন ফল খাওয়া অত্যন্ত নিরাপদ ও পুষ্টিকর, যা নিয়মিত পরিমান মত খেলে আমাদের শরীররের জন্য বেশ উপকারি হয়ে ওঠে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়।যা আমাদের মানসিক ভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফল খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে-
ড্রাগন ফল খেলে অ্যালাজির সমস্যা দেখা দিকে পারে। কিছু কিছু ড্রাগন ফলের প্রজাতি রয়েছে যেগুলোতে অ্যালাজি বাড়ানোর মতো উপাদান থাকে। আবার কিছু লোকের ড্রাগন ফলে অ্যালার্জেটিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর ফলে অনেকের চোখ মুখ ফুলে যাওয়া, চুলকানি, ফুসকুড়ি এমনকি শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা ও হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা
ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। আমাদের শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে ড্রাগন ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি বেশ কার্যকারি। তবে অধিক মাত্রায় ড্রাগন ফল খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা অনেটা কমে যেতে পারে। ডায়াবেটিস রুগির জন্য কার্যকারি হলেও এটি সাধারন জীবন-যাপনে ঝুকির কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগন ফল খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা সকলেই জানি কোন কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়, ড্রাগন ফল ও তার ব্যতিক্রম নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগন ফল খেতে আমাদের পেট ফোলাভাব, হজমে সমস্যা এবং গ্যাস সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ্য থাকতে এবং ড্রাগনের পুষ্টিগুন সম্পূর্ন ভাবে উপভোগ করতে পরিমিত খাওয়া উচিত।
ড্রাগন ফল খাওয়াতে তা ঔষধের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে। বিশেষ করে ডায়েবিটিস রুগীদের এবং যারা কিডনী বা লিভারের সমস্যায় ভূগছেন বা ঔষধ খাচ্ছেন। তারা ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তরের পরার্মশ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। এছাড়া ও ড্রাগন ফল খাওয়ার পর প্রসাবের রং পরির্বতন হতে পারে। তবে এটি স্বাভাবিক ভয়ের কোন কারণ নেই।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন। শুধু ড্রাগন ফলই নয় এর খোসাও অত্যন্ত উপকারী। আমরা অনেকে ড্রাগন ফলের খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দিই। ফেলে না দিয়ে ড্রাগন ফলের খোসা কাজে লাগাতে পারেন। ড্রাগন ফলের খোসা রূপচর্চার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রথমে ড্রাগন ফলটি ভালোভাবে ধুয়ে খোসাটা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার খোসা গুলোকে ছোট ছোট করে কেটে ফুটন্ত পানিতে দিতে হবে। কয়েক মিনিট ফোটানোর পর যখন ড্রাগন ফলের ফুটন্ত পানির রংটি লাল অথবা বাদামি আকার ধারণ করবে তখন মনে করবেন খাওয়ার উপযোগী হয়েছে। ভালোভাবে ছাকনি দিয়ে ছেকে খোসা এবং পানি আলাদা করে নিতে হবে। এবার ওই পানিতে লেবু অথবা সামান্য পরিমান লবণ মিশিয়ে জুস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ পাকা আমে কোন এসিড থাকে
ড্রাগন ফলের খোসার জুস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া ও ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে খুব সহজেই ফেসিয়াল প্যাক তৈরি করতে পারেন। ড্রাগন ফলের খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, জিংক সরবরাহ করে থাকে যা মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ব্রণের দাগ অথবা রোদে পুরা কালো দাগ দূর করতে ও ড্রাগন ফলের খোসা অত্যন্ত উপকারী।
উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় ড্রাগন ফলের খোসার ফেসপ্যাক। ড্রাগন ফলের খোসা ভালোভাবে বেটে নিয়ে সামান্য পরিমাণ কাঁচা দুধ, চালের গুড়া, বেসন দিয়ে ভালোভাবে মেশিয়ে নিতে হবে। এরপর মুখে পাঁচ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুলেই ত্বক দেখাবে নরম ও উজ্জ্বল এবং মসৃন।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা - dragon fol er upokarita
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান এবং অন্যান্য ভিটামিন ও আয়রন যা গর্ভবতী মা ও গর্ভে থাকা শিশুকে সুরক্ষিত রাখে এবং বিভিন্ন রোগ বা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। তবে গর্ব অবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
গর্ভবতী মায়ের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী রাখতে ভিটামিন সি খুব বেশি দরকারি। ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে আমরা ড্রাগন ফল খেতে পারি। কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা গর্ভবতী মায়ের শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নানা সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের পেট পরিষ্কার থাকা বা পায়খানা যথাযথ ভাবে হওয়া দরকার। তার জন্য প্রয়োজন হয় ফাইবার উপাদানের। আর ড্রাগন ফলে ফাইবারের উপস্থিতি বিদ্যমান। যা যা গর্ভবতী মায়ের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে সাইবার সরবরাহ করে। যার কারণে গর্ভবতী মায়ের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, পেট পরিষ্কার থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিতে এবং হাড় শক্ত করতে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর দরকার হয়। নিয়মিত গর্ভবতী মা ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে, গর্ভে থাকা শিশু যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পেয়ে থাকে। যার কারণে বাচ্চা শারীরিক বৃদ্ধিতে এবং হাড় শক্ত করতে ড্রাগন অতি দরকারি একটি খাবার।
ড্রাগন ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা গর্ভবতী মায়ের ত্বকে বয়েসের ছাপ পড়তে দেয়না ত্বকে উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে সাহয্য করে। এছাড়া ও ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে পানি থাকে, যা গর্ভবতী মায়ের শরীর হাইড্রেট রাখে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
অনেক পুষ্টিকর একটি ফল হচ্ছে ড্রাগন ফল। যা খেলে মিলবে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনেকেই ড্রাগন ফল খেতে খুব পছন্দ করেন। ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ড্রাগন ফল অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার বা ফল।
আমরা ইতিমধ্যে ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এমন কিছু নিয়ম রয়েছে, যেগুলো নিয়ম মেনে ড্রাগন ফল খেলে আমাদের স্বাস্থ্য উপকারিতা আরো বেড়ে যায়। চলুন জেনে নেই ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সস্পর্কে।
প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে ড্রাগন ফলটি উপযুক্ত পাকা কিনা। তারপর ড্রাগন ফলটিকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। যদি সেটা পাকা হয়ে থাকে তাহলে এবং খাওয়ার উপযোগী হয়ে থাকে তাহলে ছুরির সাহায্যে কেটে নিতে হবে। ড্রাগন ফলটিকে সোজা মাঝ বরাবর অর্ধেক করে কেটে নিন।
এরপর ছোট ছোট পিস করে খোসাগুলো ছাড়িয়ে ভেতরের লাল অথবা সাদা অংশটা খেতে পারেন। এই সুস্বাদু ড্রাগন ফলটি সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন। কাঁচা ড্রাগন ফল খেলে ক্ষতি হতে পারে। ড্রাগন ফল দুই রকমের হয়ে থাকে একটি ভিতর সাদা এবং অন্যটি লাল। সকালে নাস্তা হিসেবে ড্রাগন ফল খেতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য: ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় - ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি
প্রিয় পাঠক, আশা করি ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় এবং ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি সে বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। ড্রাগন ফল আমাদের স্বাস্থ্য উপযোগী একটি খাবার। এটি প্রতিদিন পরিমিত বা অল্প পরিমানে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভবতী মায়েরা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ড্রাগন ফল খাবেন না।
এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।
অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url