জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সহ ২৫ টি ভালো দিক

প্রিয় পাঠক, জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং জাম গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে এই আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন। আমি আপনাদের জানাবো জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং জাম গাছের ছালের উপকারিতা সহ গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
জাম গাছের ছালের উপকারিতা
আরো জানতে পারবেন, জামের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং জাম ফলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। অতএব পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যাবতীয় সকল বিষয়ে জানতে পারবেন।

জামের উপকারিতা ও অপকারিতা - জাম খাওয়ার উপকারিতা - জামের অপকারিতা - কালো জামের উপকারিতা

গ্রীষ্মকালীন সময়ে জাম ফল হয়। জাম ফল খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, প্রোটিন ও আরো বিভিন্ন জাতীয় পুষ্টি উপাদান। গ্রীষ্মকালীন সময়ে প্রতিনিয়ত জাম খেলে মিলবে নানা উপকারিতা। চলুন জাম খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
জাম খাওয়ার উপকারিতা:
  • প্রতিনিয়ত জাম খা্ওয়ার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। জমে থাকা জিংক ও ভিটামিন-সি শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা এবং হাঁপানি প্রতিকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ্য থাকতে জামের উপকারিতা অপরিসীম।
  • জামে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দাঁত সুস্থ রাখতে ও মাড়ি শক্ত রাখতে জাম খুবই উপকারী। জাম আমাদের মুখে বিভিন্ন সংক্রামন থেকে সুরক্ষা পেতে সাহায্য করে।
  • প্রাকৃতিকভাবে ত্বক সুন্দর রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জাম রাখতে পারেন। জামের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের কালো দাগ ও ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করে।
  • অনেকেই মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এ মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে জাম খেতে পারেন। কারণ, জামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা রেডিকেল কোষ গুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে। জাম খাওয়ার ফলে কোলন ক্যান্সার ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। জাম প্রতিনিয়ত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং রক্তশূন্যতা থেকে দূরে রাখে।
  • ত্বক এবং চোখ ভালো রাখতে জাম খুবই উপকারী। এছাড়াও হাট সুস্থ রাখতে এবং স্ট্রোকের মতো রোগব্যাধি প্রতিরোধ করতে নিয়মিত জাম খেতে পারেন।
জাম খাওয়ার অপকারিতা:
  • জামে অ্যালার্জি বৃদ্ধি হয় এমন উপাদান পাওয়া যায়। তাই জাম খাওয়ার ফলে অনেকের চুলকানি, শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
  • জামে আয়রন থাকে যা আামদের স্বাস্থের জন্য বেশ ভালো, তবে অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে আমাদের হার্ট বা যকৃতের ক্ষতি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত জাম খাওয়ার ফলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • মাত্রাতিরিক্ত জাম খাওয়ার ফলে আমাদের পেট ব্যথা বা পেট ফোলা সমস্যা হতে পারে।
  • জামে রয়েছে অক্সালেট, যা কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা

জামের বিচি আমাদের স্বাস্থের জন্য উপকারি। জামের বিচি আমাদের হজম বৃদ্ধি করে, হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বক ও চুলের জন্য এক পুষ্টিকর উপাদান। এর পাশাপাশি জামের বিচির কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। চলুন জেনে নেই জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে-
জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
জামের বিচির উপকারিতা:
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জামের বিচি এক অপরিহার্য খাবার। কারন জামের বিচিতে রয়েছে জ্যাম্বোলিন উপাদান যা রক্তে থাকা শর্করার মাত্রা কামিয়ে স্বাভাবিক রাখে। এ কারনে জামের বিচি খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বিভিন্ন সংক্রামন এড়াতে জামের বিচি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। কারণ জামের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সাথে বিভিন্ন সংক্রামন রোধে সাহায্য করে।

ত্বক ও চুলের যত্নে জামের বিচি একটি গুরুত্বপূর্ন খাবার। কারন জামের বিচিতে রয়েছে ভিটামিন-এ, যা ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। জামের বিচিতে রয়েছে চুলে যত্ন উপযোগী প্রোটিন। যা চুল গোড়া থেকে মজবুত করে এবং চুল বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার রোগীদের জন্য ও উপকারি একটি খাবার জামের বিচি। জামের বিচিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত কোষগুলোকে সারিয়ে তোলে এবং নতুন কোষ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যার কারনে ক্যান্সার রোধে জামের বিচি ভালো কাজ করে।

জামের বিচি পেটের সমস্যা দূর করতে ও ব্যবহার করা হয়। কারন জামের বিচিতে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার হজমশক্তি বাড়ানোর সাথে সাথে পেটে থাকা গ্যাস, এসিডিটি দুর করে এবং পেট ব্যাথা নিরাময়ে কাজ করে।

জামের বিচির উপকারিতা:
জামের বিচি খাওয়া নিরাপদ তবে কারো কারো ক্ষেত্রে জামের বিচি অ্যালার্জির কারণ হয়ে দাড়ায়। তাই আপনার যদি জামের বিচিতে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে তা পরিহার করা উচিত।

জামের বিচি পরিমিত খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি, তেমনি জামের বিচি অতিরিক্ত খেলে এতে থাকা ফাইবার আপনার পেট ফোলা, পেটে গ্যাস বা ডাইরিয়ার সমস্যা হতে পারে।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য জামের বিচি ক্ষতিকর। গর্ভাসস্থায় জামের বিচি খেলে অকাল গর্ভপাত এবং দুধদানকারী মহিলাদের দুধ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

জামের বিচি মাত্রাতিরিক্ত খেলে মাথাব্যাথা, পেট ব্যথা সহ নানা অসুস্থতার কারন হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। এটা গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী। বাচ্চা সুস্থ রাখতে এবং রক্ত শূন্যতা থেকে দূরে রাখতে প্রতিনিয়ত জাম খেলে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়। জামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্বাস্থ্য উপযোগী পুষ্টিকর উপাদান যা গর্ভবতীর ভ্রুনের বিকাশ বৃদ্ধি পেতে কাজ করে। গর্ভাবস্থায় জাম খেলে কোন ক্ষতি নেই তবে রয়েছে অনেক উপকারিতা। গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো-
  • হজম শক্তির উন্নতি করেঃ অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের হজম শক্তির সমস্যা দেখা দেয়। যদি নিয়মিত জাম খাওয়া হয় তাহলে হজম শক্তিকে উন্নত করে। ডায়রিয়া, আলসার, পেট ব্যথা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে জাম খেতে পারেন।
  • উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়ঃ জামের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা গর্ভাবস্থায় শক্তি যোগ দেয়। এছাড়াও জাম খেলে উচ্চ রক্তচাপের যোগী কমায়। তাই প্রতিনিয়ত ১০ থেকে ২০ টি জাম খেতে পারেন।
  • শিশুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ গর্ভবতী মায়েদের শিশুর দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ যা শিশুর দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে।
  • হাড় শক্ত করেঃ জামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, আইরন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম। প্রতিনিয়ত জাম খেলে হার শক্ত করতে সাহায্য করে।
  • ভ্রুনের বৃদ্ধি ও বিকাশ নিশ্চিতঃ জাম খেলে ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশ নিশ্চিত থাকে। জামের মধ্যে রয়েছে উচ্চ মানের ম্যাগনেসিয়াম যা অকাল প্রসব এড়াতে সাহায্য করে।
  • ইনফেকশন দূর করেঃ জামে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এসিড যেমন ম্যালিক এসিড ,গ্যালিকা এসিড, অক্সালিক এসিড, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি যা শরীরের বিষাক্ত ইনফেকশন থেকে দূর করে।

জাম গাছের ছালের উপকারিতা

জামের মতো জাম গাছের ছালের উপকারীতা অনেক। এটা বিভিন্ন ঔষধি কাজে ব্যবহার করা হয়। জানলে অবাক হবেন জাম গাছের ছাল কতটা উপকারী এবং জাম গাছের ছাল আমাদের শরীর সুস্থ্য রাখতে কতটা কার্যকারি। চলুন জেনে নেই জাম গাছের ছালের কয়েকটি উপকারিতাঃ

পোড়া দাগ ও ক্ষত সারাতে সাহায্য করে: শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে বা ক্ষত থাকলে সেটা সুস্থ করতে জাম গাছের ছাল অত্যন্ত উপকারী। কয়েক টুকরা জাম গাছের ছাল গুড়ো করে পোড়া ও ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে তাড়াতাড়ি ভালো করতে সাহায্য করে।

দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করে: অনেকেরই দাঁতের সমস্যা হয়ে থাকে । বিভিন্ন কারণে দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়ে রক্ত বের হয়। সেক্ষেত্রে কিছুটা জাম গাছের ছাল গুড়ো করে দাঁত মাজলে, দাঁতের মাড়ি ফোলা ও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ভালো হয়। প্রতিনিয়ত কিছুদিন দাঁত দাঁত মাজলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।

পেটে সমস্যা ভালো করে: অনেকেরই পেটের সমস্যা হয়ে থাকে। বাচ্চাদের যদি পেটের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে জাম গাছের ছাল ও তিন থেকে চার ফোটা ঘি সামান্য পরিমাণ চিনি মিশিয়ে খেলেই বাচ্চাদের পেট ব্যথা ভালো হয়ে যায়।

মুখে দুর্গন্ধ কমায়: জাম গাছের ছাল দিয়ে রস করে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। এছাড়াও দাঁতের হলুদ দাগ দূর করতে প্রতিনিয়ত জাম গাছের ছালের গুঁড়ো দিয়ে দাঁত মাজলে হলুদ দাগ উঠে যায়।

জাম ফলের বৈশিষ্ট্য

জাম ফলের বৈশিষ্টের মধ্যে জামের আকার, আয়তন, স্বাদ, গন্ধ ও এতে খাকা পুষ্টিগুের গুরুত্ব দেয়া হয়। জাম সাধারণত কালো কালারের হয়ে থাকে। এছাড়া ও এর অনেক কালার থাকতে থাকতে পারে। একাটি জাম সাধারনত ১ ধেতে ২ সেন্টিমিটার ব্যসের হয়ে থাকে। জামের স্বাদ কাচা অবস্থায় এক রকম এবং পাকা অবস্থায় অন্য রকম হয়ে থকে।
জাম ফলের বৈশিষ্ট্য
প্রতিটি জামে একটি করে বিচি থাকে এবং তা অনেক শক্ত হয়ে থাকে। একটি জাম গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই জাম গাছের পাতা খানিকটা গোলাকৃতি বা ডিম্বাকৃতির হয়ে খাকে। জাম গাছের ফুল হালকা গোলাপি এবং সাদা হতে পারে। জাম পেকে গেলে এ থেকে একধরনের সুগন্ধি ছড়ায়।
জাম দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেমন ভারত, পাকিস্থান এবং বাংলাদেশে প্রচুর পমিানে পাওয়া যায়। জাম পাকাসহ সব অবস্থায় খাওয়া যায়, জুস এবং বিভিন্ন ডায়েটে খাওয়া যায়। জামের জেলি সকাালের নাস্তাতে বেশ উপযোগী একটি খাদ্য এবং জামের তৈরী করা শরবত খেতে বেশ মজাদার ও সুস্বাদু হয়ে থাকে।

জাম কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং এটি পাকলে বেগুনি বা কালো রঙ্গের হয়ে থাকে। জাম পাকলে অনেকটা নরম ও রসালো প্রকৃতির হয়ে থাকে। জাম ফলে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ক্যাসিয়াম সহ ফসফরাস থাকে। জামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রয়েছে। যা স্বাস্থ্য উন্নতিতে উপকারি। জাম ফলের রস ব্যথা নিধনে ব্যবহার করা হয়।

লেখকের মন্তব্য: জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা - জাম গাছের ছালের উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আশা করি জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা ও জাম গাছের ছালের উপকারিতা সহ জামের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। জাম আমাাদের স্বাস্থ্য উন্নতিতে উপযোগী। জাম অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং এর দাগ কাপড়ে লাগলে সহজে ওঠে না। অতএব সর্তক থাকুন।

এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url