আমড়া খাওয়ার নিয়ম ও বিলাতি আমড়ার ২০টি উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আমড়া খাওয়ার নিয়ম এবং বিলাতি আমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে আর্টিকেলটিতে ক্লিক করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি যদি উক্ত দুটি বিষয় সহ আমড়া বিষয়ে আবগত না হন, তা হলে এই আর্টিকেলটি শুধূ মাত্র আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন আমরা খাওয়ার নিয়ম এবং বিলাতি আমরা উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
বিলাতি আমড়ার উপকারিতা
আপনাদের সুবিধার্থে গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা, আমড়া পাতার উপকারিতা এবং আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সহ আমড়া বিষয়ে সকল তথ্য বিষয়ে জানতে পারবেন।

ভূমিকা: আমড়া খাওয়ার নিয়ম - বিলাতি আমড়ার উপকারিতা

স্বাস্থ ভালো রাখতে আমড়া একটি উপকারি ফল হিসেবে পরিচিত। আমড়া গ্রীষ্মকালীন একটি ফল এবং বাংলাদেশে এর চাহিদা ও অনেক। গরমে পাওয়া এই ফলটি টক মিষ্টি স্বাদের জন্য অনেক বেশি জনপ্রিয়। আমড়া ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি এর উপস্থিতি সহ আরো নানা পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
আমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Spondias dulcis. টক মিষ্টি হওয়াতে সবাই আমড়া খেতে পছন্দ করে। স্বাস্থ উন্নতিতে নিয়মিত আমড়া খাওয়া উচিত। আমড়া সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আমড়া খাওয়ার নিয়ম সহ আমড়া বিষয়ে সকল অজানা তধ্য জানতে পারবেন।

আমড়া খাওয়ার নিয়ম

আমরা সবাই আমড়া খেতে পছন্দ করি। কারণ এই ফলের টক মিষ্টি স্বাদ আমাদের সকলেরই ভালো লাগে। আমড়া খাওয়া সব বয়সের মানুষের জন্যই স্বাস্থ্য উপযোগী। কিন্তু এই আমড়া খাওয়ার কিছু ‍নিয়ম রয়েছে, যেই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই আমড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে-
আমড়া খাওয়ার নিয়ম
প্রথমে আমড়া ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। কারণ আমড়ার উপরে ধুলাবালী বা ময়লা লেগে থাকতে পারে। আপনি চাইলে আমড়ার উপরের ছালসহ খেতে পারেন আবার ছাল ফেলে দিয়ে ও খেতে পারেন। তবে আমড়া ছাল সহ খাওয়াই উত্তম কারণ আমড়ার ছালে ভিটামিন-সি রয়েছে। যা আমাদের সর্দি কাশিতে বেশ উপযোগী।

আমড়া কেঁটে খেতে পারেন আবার আস্ত আমড়া খাওয়া যেতে পারে। আমড়া বীজ সাধারণত বিষাক্ত হয়ে থাকে। তাই আমড়া খাওয়ার সময় এর বীজ ফেলে দেওয়া উচিত। দিনে ১ থেকে ২ টির বেশি আমড়া খাওয়া উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত আমড়া খেলে আমাদের ডাইরিয়া বা পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমড়া কখনোই খালি পেটে খাবেন না। খালি পেটে আমড়া থেলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে। আমড়া খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো- যদি খাওয়ার আগে খান তবে খাবার আধা ঘন্টা আগে খেতে পারেন। আর যদি খাবার পরে খান তাহলে খাবার ১ ঘন্টা পরে খেতে পারেন। তবে খাবার পরেই আমড়া খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

আমড়া বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় যেমন- লবন ও মরিচ দিয়ে খাওয়া যায়, আমড়ার আচার তৈরী করে তা র্দীঘদিন সংরক্ষন করে খাওয়া যায়, আমড়ার চাটনি তৈরী করে ও খেতে পারেন এছাড়া আমড়া সালাদ হিসেবে এবং শরবত হিসেবে ও খাওয়া যায়। এই নিয়ম গুলো মেনে আমড়া খাওয়া উচিত তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

বিলাতি আমড়ার উপকারিতা

বিলতি আমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Spondias dulcis. বিলাতি আমড়া আমাদের শরীর ভালা রাখতে বেশ উপকারি একটি ফল এবং এর টক মিষ্টি স্বাদ আমাদের আকৃষ্ট করে। তাই সবাই আমড়া খেতে পছন্দ করে। বিলাতি আমড়া খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেই বিলাতি আমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিলাতি আমড়া খাওয়া যেতে পারে। কারণ বিলাতি আমড়াতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে েএবং আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাই হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত বিলাতি আমড়া খাওয়া যেতে পারে।

ত্বকের সুরক্ষা প্রদানে বিলাতি আমড়া খাওয়া যেতে পারে। কারন বিলাতি আমড়াতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং ত্বকে থাকে বিভিন্ন দাগ বা ক্ষত রোধ করে ত্বক রাখে মসৃন এবং উজ্জ্বলতা প্রাদানে বেশ কার্যকারি। তাই ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন ১ থেকে ২ টি আমড়া খাওয়া উচিত।
চোখ ভালো রাখতেও বিলাতি আমড়া বেশ পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। বিলাতি আমড়াতে রয়েছে ভিটামিন-এ। যা চোথের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া ও যাদের রাতকানা রোগ রয়েছে, তাদের রাতকানা রোগের প্রতিরোধে বিলাতি আমড়া খাওয়া যেতে পারে। চোখের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে খাদ্য তালিকায় আমড়া রাখুন।

এছাড়া ও ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে বিলাতি আমড়া হতে পারে আপনার ডায়েট চার্টের একটি খাবারের অংশ। বিলাতি আমড়া সাধারণত কম ক্যালোরিযুক্ত ফল এবং বিলাতি আমড়াতে আঁশের পরিমান অনেক বেশি থাকায় এটি আমাদের ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। আমড়া খাওয়ার আগে উপরের আমড়া খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করুন।

আমড়া পাতার উপকারিতা

আমড়া খাওয়ার যেমন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এবং বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, আমড়া পাতা ও তার ব্যতিক্রম নয়। আমড়া পাতার ও নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে। আমড়া পাতা চা ও স্যুপে ব্যবহার করা যায়। নিম্নে আমড়া পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

চুলের যত্নে: আমড়া পাতা চুল ভালো রাখতে কাজ করে। প্রথমে আমড়া পাতা বেটে বা ব্লেন্ড করে রস বের করে নিতে হবে। সেই আমড়া পাতার রস চুলে ব্যবহার করলে, চুলের গোড়া শক্ত হয়ে চুল পড়া অনেকটা কমে যায় এবং চুল ঘন ও মসৃন করতে সহায়তা করে।

দাঁত ও মাড়ির যত্নে: আমাদের অনেকের দাঁত ক্ষয় ও মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকে। এই সমস্যা সমাধানে আমড়া পাতা ব্যবহার করা যায়। আমড়া পাতায় থাকা অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য দাঁত ক্ষয় ও মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমড়া পাতা কার্যকারি একটি উপায়। আমড়া পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি।

ব্যাথা নিরাময়ে: আমাদের শরীরের নানা ধরণের ব্যথা কমাতে আমড়া পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। আমড়া পাতায় থাকা অ্যান্টিেইনফ্লেমেটরি উপাদান আর্থ্রাইটিস এভং অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগীদের জন্য বেশ উপকারি।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে: যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে আমড়া পাতা। আমড়া পাতায় রয়েছে পটাশিযাম, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে। এই রোগের সমাধানে আমড়া পাতা চিবিয়ে অথবা রস বের করে খেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিটি মেয়ের জীবনে গর্ভাবস্থা বিশেষ এক সময়। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের নান স্বাস্থ্য পরিবর্তন হয়ে থাকে। আর এই সময় সঠিক মাত্রায় পুষ্টি গ্রহন করা অত্যন্ত জরুরি। এসময় টক খেতে বেশি ইচ্ছা করে, তারজন্য আমড়া হতে পারে গর্ভবতী মায়ের জন্য এক অপরিহার্য খারার এবং এর নানা উপকারিতা ও রয়েছে। নিম্নে গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলা হলো-
  • গর্ভবতী মায়ের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, দরকারি কোষগুলোকে ভালো রাখতে এবং নতুন কোষ বৃদ্ধিতে আমড়া থেতে পারেন। আমড়ায় থাকা ভিটামিন-সি মা ও শিশুর রোগ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কোষ ভালো ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া আয়রনের ঘাটতি পূরন করতে আমড়া বেশ কার্যাকরি।
  • গর্ভাবস্থায় অনেক মা রয়েছেন যাদের হজমের সমস্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। এই সমস্যা সমাধানে আমড়া থেতে পারেন। আমড়াতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়া ও আমড়া খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • গর্ভাবস্থায় রক্তের অ্যানিমিয়া রোধ করা জরুরি। এই সমস্যা সমাধানে আমড়া খাওয়া যেতে পারে। আমড়াতে থাকা লোহ্য রক্তের অ্যানিমিয়া রোধে বেশ কার্যকারি ভূমিকা পালন করে।
  • গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে গর্ভবতী মা আমড়া খেতে পারেন। কারণ আমড়া রযেছে ফলেট বা ভিটামিন-বি৯, যা শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে বেশ উপকারি।
  • গর্ভবতী মায়ের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে এবং মন প্রফুল্লতা রাখতে আমড়া বেশ উপকারি একটি ফল। এছাড়া ও আমড়াতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা গর্ভবতী মায়ের শক্তি বৃদ্ধিকে কাজ করে এবং ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।

আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমড়া টক মিষ্টি স্বাদের জন্য জনপ্রিয় একটি ফল এবং এটি পুষ্টিগুনে ও অন্যান্য ফলের থেকে এগিয়ে। আমড়া কেবল মুখরোচক খাবারই নয় বরং এটি স্বাস্থ্যের জন্য অতুলনীয় একটি ফল। আমড়া খাওয়ার যেমন নানা উপকারিতা রয়েছে, অপর দিকে এটি খাওয়ার অপকারিতা ও রয়েছে। চলুন জেনে নেই আমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে-

আমড়ার উপকারিতা:
  • প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়াতে প্রায় ৪০ শতাংশ ভিটামিন সি থাকে। যা আমাদের দৈহিক ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরনে যথেষ্ট। আর এই ভিটামিন সি এর কারনে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বৃদ্ধি পায়। যা কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি সহ অন্যান্য রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরনে ও আমড়া খাওয়া যেতে পারে। কারন প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়াতে প্রায় ৫০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি পরিমানে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাই ক্যালসিয়ামের ভালো একটি উৎস এই আমড়া ফল।
  • আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে আমড়া খাওয়া যেতে পারে। আমাদের শরীরে যে পরিমান আয়রনের প্রয়োজন তার প্রায় ৩০ শতাংশ পূরন করতে আমড়া ভূমিকা রাখতে পারে। আয়রন আমাদের দেহের রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। যার কারনে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া আমড়া খাওয়ার ফলে আমরা যে সকল উপকারিতা পেয়ে থাকি তা হলো-
  • উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
  • দেহের ওজন স্বাভাবিক থাকে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলাতা বৃদ্ধি পায়।
  • চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং লম্বা হয়।
আমড়ার অপকারিতা:
  • আমড়া অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের পেঁট ফাপা থেকে শুরু করে ডাইরিয়া ও হতে পারে।
  • আমড়াতে অ্যাসিডের পরিমান বেশি থাকায় আমাদের দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।
  • এছাড়া আমাড়া খাওয়ার ফলে আমাদের এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আমাড়াতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার আগে সর্তক হওয়া উচিত।
  • আমড়াতে অক্সালেটের পরিমান বেশি থাকে, যার কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আমড়া বেশি পরিমানে খেলে হজমে তারতম্য হতে পারে। ফলে আমাদের গ্যাসের সমস্যা ও বমি বমি ভাব হতে পারে।
Q. আমড়া ফল ইংরেজি কি
A. Hog Plum

লেখকের মন্তব্য: আমড়া খাওয়ার নিয়ম - বিলাতি আমড়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আশা করি আমড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং বিলাতি আমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। আমড়া আমাদের স্বাস্থ্য উপযোগী একটি ফল। এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রা বজায় রাখা জরুরি। গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া কোন কিছুই খাওয়া উচিত নয়, আমড়া ও তার ব্যতিক্রম নয়।

এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url