পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা এবং ৫০+ সাধারণ জ্ঞান ২০২৪

প্রিয় পাঠক, পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা জানা সব ক্লাসের শিক্ষাথীদের জন্য অত্যান্ত জরুরি। কারণ সব ক্লাসের পরিক্ষাতেই এখন পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা আসে। এছাড়া চাকরী প্রত্যশী সকল ভাই ও বোনদের জন্য পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৪ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা জরুরি। এর কারণ হলো প্রায় সকল চাকরি পরিক্ষাতেই এখন পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান এসে থাকে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা
তাই আপনি যদি একজন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা এবং আপনি যদি একজন চাকরি প্রত্যাশী হয়ে থাকেন, তাহলে পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৪ জানা প্রয়োজন।

ভূমিকা: পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা - পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৪

পদ্মা সেতু হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু। সমস্ত বিশ্বে দৈর্ঘ্যে ১২২ তম আমাদের এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এছাড়া সড়ক সেতু হিসেবে বিশ্বে ২৫ তম সেতু এই পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু কেবল বাংলাদেশে নয় বরং পুরো বিশ্ব দরবারে এর নাম কুড়িয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের সুবিধার্থে এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরী করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু যা আমাদের কল্পনা বা স্বপ্ন ছিলো, তা বাস্তবে রুপ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা জানতে এবং পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৪ সহ যাবতীয় সকল তথ্য জানতে সমস্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৪

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, ‍পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ, অবস্থান, নির্মাতা কোম্পানি, পদ্মা সেতুর ধরন সম্পর্কে সকল সাধারন জ্ঞান তুলে ধরা হলো। চলুন জানি স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৪-
  • পদ্ম সেতু প্রকল্পের নাম - পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।
  • পদ্মা সেতুর অবস্থান - জাজিরা, শরীয়তপুর থেকে মাওয়া, মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত।
  • পদ্মা সেতু অবস্থিত - ঢাকা বিভাগে।
  • পদ্মা সেতুর নকশা করেন - AECOM (Architecture Engineering Construction, Operations and Management)
  • পদ্মা সেতুর ধরণ - এটি একটি ‍দ্বিতল বিশিষ্ট সেতু। উপরে মহা সড়ক এবং নিচে রেলপথ।
  • পদ্মা সেতু সংযুক্ত করেছে - ২১ টি জেলাকে।
  • পদ্মা সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান - চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
  • পদ্মা সেতুতে - ডুয়েল গেজ লাইনের রেল সংযোগ রয়েছে।
  • পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় - ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে।
  • পদ্মা সেতু নির্মাণে উপকরণ - স্টিল ও কংক্রিট।
  • পদ্মা সেতু তদারকির দায়িক্ত পালন করে - কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
  • পদ্মা সেতুর মেয়াদ কত দিন - ১০০ বছর।
  • পদ্মা সেতুর ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রা - রিখটার স্কেল অনুযায়ী ৯ মাত্রা।
  • পদ্মা সেতুতে লেন রয়েছে - ৪ টি।
  • পদ্মা সেতুতে পিলার সংখ্যা - ৪২ টি।
  • পদ্মা সেতুতে স্প্যান সংখ্যা - ৪১ টি।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে ভাইবা প্রশ্ন

  • পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য - ৬.১৫ কিলোমিটার বা ২০,২০০ ফুট।
  • পদ্মা সেতুর প্রস্থ - ১৮.১ মিটার বা ৫৯.৪ ফুট।
  • পদ্মা সেতুর স্থানাঙ্ক - ২৩.৪৪৬০ ডিগ্রী উত্তরে এবং ৯০,২৬২৩ ডিগ্রী পূর্বে।
  • পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট - ৩.১৮ কিলোমিটার।
  • পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার সংখ্যা - ৮১ টি।
  • পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়ে - ২৫ জুন ২০২২ সালে।
  • পদ্মা সেতুর মোট পাইলিং সংখ্যা - ২৬৪ টি।
  • পদ্ম সেতুর পাইলিং গভীরতা - ৩৮৩ ফুট।
  • প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং সংখ্যা - ৬ টি।
  • পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা - ৬০ ফুট।
  • পদ্মা সেতুতে জনবল লাগে - প্রায় ৪০০০ জন।
  • পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয় - ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে।
  • প্রথম স্প্যান - ৩৭ ও ৩৮ নাম্বার পিলারে বসানো হয়।
  • পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানো হয় - ১০ ‍ডিসেম্বর ২০২০ সালে ( ১২ ও ১৩ নাম্বার পিলারে)।
  • পদ্মা সেতুতে বসানো প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য - প্রায় ১৫০ মিটার।
  • পদ্মা সেতুর এক পিলার থেকে অন্য পিলারের দূরত্ব - প্রায় ১৫০ মিটার।
  • পদ্মা সেতুতে রেল লাইনের দৈর্ঘ্য - ১৭৩ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান mcq

  • বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু - পদ্মা সেতু।
  • পাদ্মা সেতু ঢাকার সাথে ‍যুক্ত করেছে - ১৯ টি জেলা।
  • পদ্মা সেতু ৩ টি জিলা মিলে বিস্তৃত - শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ এবং মাদারীপুর।
  • পদ্মা নদীর নদী শাসন করে- সিনোহাইড্রা করপোরেশন লিমিটেড( যার পরিধী প্রায় - ১৪ কিলোমিটার)
  • পদ্মা সেতুতে ব্যয় হয়েছে - ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।
  • পদ্মা সেতুর ফলে জিডিপি বৃদ্ধি পায় - ১.২ শতাংশ।
  • পদ্মা সেতু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় - ১৭ জুন ২০১৪ সালে।
  • রাস্তা সহ পাদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য - প্রায় ৯ কিলোমিটার।
  • পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক - মো: শফিকুল ইসলাম।
  • পদ্মা সেতুতে কাজ করা প্রথম মহিলা প্রকৌশলী - ইশরাত জাহান ইশী।
  • পদ্মা সেতু জাদুঘর - মুন্সিগঞ্জ এর শ্রীনগরে অবস্থিত।
  • পদ্মা সেতুতে প্রথমিক ভাবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু হয় - ৪ এপ্রিল ২০২৩ সালে।
  • পদ্মা সেতু দক্ষিণ এশিয়ার - ২য় বৃহত্তম সেতু।
  • পদ্মা সেতু বিশ্বের - ২৫ তম সড়ক সেতু।
  • পদ্মা সেতু টোল আদায়ে কাজ করে - যমুনা ব্যংক লিমিটেড।
  • পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হয় - ২৩ জুন ২০২২ সালে।
  • পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
  • পদ্মা সেতুতে প্রথম টোল দেন - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা

স্বপ্নের পদ্মা সেতু

ভূমিকা:
বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সেতু হলো আমাদের সকলের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু পদ্মা নদীর উপরে নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমখী সেতু প্রকল্প। এটি বাংলাদেশের সর্ববহৎ ও ব্যায়বহুল একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে প্রায় ৮ বছর সময় লেগেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে একধাপ এগিয়ে রাখবে।

বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নতে করে, বাংলাদেশকে ‍বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে আমাদের এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু প্রায় ৩ টি জেলা মিলে বিস্তৃত। শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ এবং মাদারীপুর এই জেলাতে পদ্মা সেতুর অবস্থান। পদ্মা সেতু যা আমাদের জন্য স্বপ্নের একটি প্রজেক্ট ছিলো। তা ২৩ জুন ২০২২ সালে কাজ শেষ হওয়ার মাধ্যমে বাস্তবে রুপ নেয়।

পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রেক্ষাপট:
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ এই পদ্মা সেতু। তারা প্রতিনিয়ত নৌপথে যাতায়াত করতেন। যা ছিলো শারীরিক ক্লান্তি ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ার ফলে তাদের শারীরিক পরিশ্রম এবং সময় অনেকটা সাশ্রয় হয়ে থাকে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নাতি হয়েছে।
১৯৯৮ সালের শেষের দিকে সর্বপ্রথম ঢাকা থেকে ফরিদপুর মহা সড়ক করতে পদ্মা নদীতে একটি সেতু নিমার্ণে প্রস্তাব করে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ করে প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে এর কার্যক্রম যাচাই বাচাই করা হয়ে এবং ২০০১ সালের শুরুর দিকে ভিত্তি স্থাপন করেন সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তা সে সময় বাস্তবায়ন না হয়ে পরে ২০০৭ সাালে পদ্মা সেতু প্রকল্প শুরু করলেও তা ২০১৩ সাল পর্যন্ত বন্ধ থাকে।

সব জল্পনা কল্পনা পেরিয়ে ২০১৪ সালে ১৭ জুন নতুন করে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প চালু হয়। যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়না মেজর ব্রিজ ইন্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। পরে ২৬ নভেম্বর মাসে পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হয় এবং ২০১৫ সালে ১২ ডিসেম্বর দেশরত্ন শেখ হাসিনা এ কাজের উদ্বোধন করেন।

পদ্মা সেতুর বর্ণনা:
শুরুতে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্টান সহযোগীতা করতে চাইলে ও তারা পরে এই সহযোগীতার হাত সরিয়ে নেন। পরে বাংলাদেশ সরকার নিজ অর্থায়নে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু করার প্রস্তুতি গ্রহন করেন। বাংলাদেশের এই বৃহত্তম সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং এর প্রস্থ ১৮,১০ মিটার। এই সেতুতে পিলার সংখ্যা রয়েছে ৪২ টি এবং স্প্যান সংখ্যা রয়েছে ৪১ টি।
যেখানে শেষে স্প্যানটি বসানো হয় ১২ ও ১৩ নং পিলারে ১০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে। এই পদ্মা সেতু মুন্সীগঞ্জ ও শরিয়তপুর জেলাকে একত্রিত করেছে। এই সেতুটি নিমার্ণে কংক্রিট ও স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। এই সেতুর মূল বৈশিষ্ট হলে উপরে মহাসড়ক এবং এর তলদেশে রেল চলাচলের সুব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে পরিক্ষামূলক ভাবে ৪ এপ্রিল ২০১১৩ সালে প্রথম ট্রেন চালনা করা হয়।

সেতুর তদারকির দায়িত্ব পালন করে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই সেতুতে ভায়াডাক্টর বিস্তার ৩.১৮ কিলোমিটার এবং সমস্ত সেতু জুরে মোট ভায়াডাক্ট পিলার সংখ্যা রয়েছে ৮১ টি। এই সেতুটি রিখটার স্কেল অনুযায়ী ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল হয়ে থাকে। এই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল ১০০ বছর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পদ্মা সেতুতে মোট ব্যয়:
১৯৯৮ সালে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণে একটি প্রাথমিক বাজেট করা হয় প্রায় ৩ হাজার ৬ শত কোটি টাকা। ১৯৯৯ সালে বিদেশী অনুদান থেকে ২ হাজার ৬ শত কোটি টাকাসহ দেশীয় ৭৫০ কোটি টাকা মিলে মোট ৩৪৪৩ হাজার কোটি টাকা নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়। অনেক ‍দিন কাজ বন্ধ থাকার পর ২০০৭ সালে ১০,১৬১ হাজার কোটি টাকা পদ্মা সেতুর জন্য অনুমোদন পায়।

২০১১ সালে তা সংশোধন করে পদ্মা সেতু নির্মাণে শুরুতে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার কথা থাকলে ও ২০১৬ সালে ২য় সংশোধনীর মাধ্যমে তা ৮ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করে মোট ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা সেতু নির্মানে বাজেট পাশ হয়। পদ্মা সেতু নির্মানে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্টান সাহায্যের হাত বাড়ালেও পরে তা সরিয়ে নেয়।

২০১২ সালে বিশ্ব ব্যংক সাহায্যে হাত সরিয়ে নিলে, তৎকালিন বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজেস্ব অর্থতে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয় ৩০,১৯৩ হাজার কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নির্মাণ বরাদ্দ। 

অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
বাংলাদেশের নিজ অর্থায়নে করা পদ্মা সেতু সম্পূর্ন হওয়াতে, বাংলাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে ভূমিকা পালন করছে। এই সেতু সম্পূর্ন হওয়াতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ খুব সহজেই ব্যবস্যায়িক কাজে ঢাকা আসা যাওয়া করতে পারছেন। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপন্য সহ আরো অন্যান্য জিনিসপত্র সরববাহ ক্ষেত্রে পরিবহন খরচ অনেকটায় কমে গিয়েছে। যা আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে আমাদের মোট জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১.২ শতাংশ।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব:
বাংলাদেশে এমন একটি সেতু হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সেতু হিসেবে পরিচিত। এতে যেমন বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত তেমনি বহির বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হবে। এই পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে আমাদের দেশের আর্থিক সক্ষমতা নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকে। আমরা বহির বিশ্বে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে শুধু কথায় নয় কাজে ও করিয়ে দেখেছি।

এছাড়া এই পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়েছে। যার মাধ্যমে তারা ব্যবস্যায়িক ক্ষেত্রে তো বটেই বিভিন্ন চিকিৎসা, শিক্ষা সেবা সহ অন্যান্য সেবা পাওয়া তাদের জন্য অনেক সহজ হয়েছে। এছাড়া এই সেতু নির্মাণে বিভিন্ন জেলার মানুষের মধ্যে যোগাযোগের সাথে সাথে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও সহজ হয়েছে।

উপসংহার:
পদ্মা সেতু কেবলমাত্র বাংলাদেশ নয়, সমস্ত বিশ্ব জুরে এক অনন্য দৃষ্টান্তের নাম। প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন ছিলো এই পদ্মা সেতু যা আজ বাস্তবে রুপ নিয়েছে। দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত করার পাশাপাশি দেশে জিডিপিতে ও ভূমিকা রাখছে। এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের নিজ অর্থায়নে করা মহাকব্যিক সফলতার গল্প।

লেখকের মন্তব্য: পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা - পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৪

প্রিয় পাঠক, আশা করি পদ্মা সেতু সম্পর্কে রচনা এবং পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২৪ বিষয়ে অবগত হয়েছেন। আমাদের স্বপ্নের নাম পদ্মা সেতু। যা আমরা নিজ অর্থ দিয়ে করতে সক্ষম হয়েছি। এখন এর রক্ষনা-বেক্ষনের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের প্রতিটি মানুষের উচিত যথাযথ ভাবে টোল আদায় করা।

এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url