ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
প্রিয় পাঠক, ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন। আপনাদের আজ আমি জানাবো, ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে।
তাই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর ও ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে যাবতীয় সকল খুঁটিনাটি বিষয় সহ জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা: ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। সব কিছু পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের ব্যবসা চিন্তা, আয় করার পদ্ধতি সব কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। সবাই সহজেই ইনকাম করতে চায় এবং সেটি ও তার সুবিধামত সময়ে। সেজন্য মানুষ অনলাইন ইনকাম কে বেঁচে নিয়েছে।
যার মধ্যে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর। যে সেক্টর টা এত বড় যে এখানে কাজ শিখতে পারলে কাজের কোন অভাব নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভর করে বর্তমান সময়ে অনেক এজেন্সি বা কোম্পানি ও তৈরী হয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক গুলো ক্ষেত্র রয়েছে, আমরা এই আর্টিকেলে সেই সকল ক্ষেত্র গুলো নিয়ে কথা বলবো যেগুলো অনেক বেশি পরিচিত এবং যেখান থেকে অনেক বেশি ইনকাম করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমান সময়ে সবাই চাকরির থেকে ব্যবসাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এই ব্যবসাতে প্রতিযোগীতা অনেক বেশি হওয়াতে, সবাই এখন ব্যাবসা থেকে শুরু করে সকল বিষয়েই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। যার কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল ক্ষেত্রে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। চলুন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা সম্পূর্ণ কিছু কাজ সম্পর্কে জেনে নেই-
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: আপনার নিকট যদি যেসকল সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম গুলো রয়েছে, যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব বা টুইটার। এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করার সময় আপনি অবশ্যই নজর করে থাকবেন, সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে, বিভিন্ন ধরনের এড আসে। যে এডের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টান তাদের পণ্য বা সেবা সমূহ প্রচার করে থাকে। এটিই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং, যা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখানোর ফলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়।
এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ফলে, যেখানে আগে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্টান, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতো না। এখন সবাই জানতে পারছে। বর্তমানে প্রায় শতকরা ৬০ ভাগের ও বেশি ব্যবসায়ী বা সেবা প্রদান কারী প্রতিষ্টান গুলো এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করছে। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং চাহিদা অনেক বেশি এবং দিন দিন তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো এসিও। আপনার সকল কিছু ঠিক থাকলেও, যদি এসিও ঠিক ভাবে কাজ না করে তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনার টাকা খরচ ছাড়া আর কিছু হওয়ার সম্ভাবনাই নেই। অনলাইন জগতে যার এসিও জ্ঞান যত ভালো তার ইনকাম তত বেশি।
ধরুন, আপনি এবং আমি দু’জনই কোন একটি বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য এড রান করেছি। এখন আমরা দুজনই তো টাকা ইনভেস্ট করে এড রান করেছি, তাহলে কার এডটি আগে অন্য সকলের কাছে পৌঁছাবে? অবশ্যই যার এসিও সব থেকে ভালো তার এডটি আগে সবার কাছে পৌঁছাবে। তাই অভিজ্ঞ এসিও এক্সপার্টেড চাহিদা অনেক বেশি হয়ে থাকে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং: আপনি এতক্ষন ধরে যে আর্টিকেলটি পড়ছেন? এটি ও একটি কন্টেন্ট। ভালো কন্টেন্ট ছাড়া ইউটিউব, ফেসবুক, ব্লগিং বা অন্য কোন মাধ্যমে সফল হওয়া সম্ভব নয়। যাদের কন্টেন্ট যত বেশি ভালো তারা ততবেশি সফল এই সকল মাধ্যম থেকে। তাই এসকল মাধ্যমে অতিদ্রুত সফল হতে ভালো কন্টেন্টের কোন বিকল্প নেই।
আপনি যদি ভালো মানের একজন কন্টেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন বা আপনার লেখা সবাই পছন্দ করে, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই সেক্টরে আপনার উজ্জ্বল ভবিষৎ রয়েছে। একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার নিজে সফল হওয়ার পাশাপাশি অন্যকে ও সফল করতে ভূমিকা রাখে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কন্টেন্ট মার্কেটিং কাজের চাহিদা অনেক বেশি।
ইমেইল মার্কেটিং: সবচেয়ে মান সম্মত একটি কাজ হলো ইমেইল মার্কেটিং। যা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশাল একটি জায়গা দখল করে রয়েছে। ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ হলো ইমেইলের মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবা গ্রহকের নিকট পৌঁছানো। ইমেইল মার্কেটিং এ সফলতার প্রায় ৬০ ভাগ। বেশির ভাগ প্রতিষ্টান এখন ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই তাদের ব্যাবসাকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কারো কাছে যেতে হচ্ছে না কারোর সাথে কথা বলতে হচ্ছেনা। শুধু মাত্র একটি ইমেইল পাঠিয়ে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ধারণা দিতে পারছেন। আর আপনি কেবল মাত্র একটি ক্লিকে শত শত মানুষের নিকট একই ইমেইল পাঠাতে পারছেন। তাই বর্তমান সময়ে ইমেইল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে
ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অনেক বড় একটি সেক্টর এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য আলাদা আলাদা বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হয়। মনে করুন আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করবেন? তাহলে আপনাকে কিভাবে ভালো কন্টেন্ট লেখা যায় এবং সেখান থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে এবং কন্টেন্ট রাইটিং এ এক্সপার্ট হতে হবে। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্য কাজে জন্য সেবিষয়ে এক্সপার্ট হতে হবে। চলুন জেনে নেই-
এসিও নিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে একটি ওয়েবসাই কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনে সবার উপরে আসবে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং এ বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে। তাই এসিও নিয়ে কাজ করতে হলে কি কি ভাবে এসিও করা যায় এবং কিভাবে পোস্ট গুলো র্যাংক করবে সে বিষয়ে এক্সপাট হতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ব্যাবসা অনুযায়ী ভিডিও, ছবি বা লেখা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে যেমন- ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এ ব্যাবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রচার করতে হবে। এছাড়া ব্যাবসা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে এবং ব্যাবসাকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেক্ষেত্রে এক্সপার্ট হতে হবে।
এছাড়া কিভাবে এড রান করাবেন, কিভাবে কোন নিদিষ্ট এলাকা ভিত্তি এড রান করাবেন, কোন কোন বয়সের মানুষের কাছে আপনার এড শো করবে এই সকল বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হবে। এই বিষয় গুলো যদি আপনার আয়ত্বে না থাকে বা পূণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন না করেন, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ আপনি সকল হতে পারবেন না।
ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইমেইল সম্পর্কে এ টু জেট জানতে হবে। কিভাবে ইমেইল সেন্ট করবেন, কিভাবে ইমেইল শুদ্ধ ভাবে লিখবেন, কিভাবে অনেক জনের কাছে একসাথে ইমেইল পাঠাবেন এবং কিভাবে ইমেইলের উত্তর দিবেন সে সম্পর্কে এক্সপার্ট হতে হবে। এছাড়া ইমেইলের মাধ্যমে কিভাবে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা যায় এবং ব্যাবসার পরিসর বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর বা প্রকার এত বেশি যা শেষ হবার নয়। তবে সকল সেক্টর বা প্রকার অনেক বেশি জনপ্রিয় নয় এবং সব সেক্টর থেকে ভালো ইনকাম হয় না। এই আর্টিকেলে কেবল মাত্র সেই সকল বিষয় নিয়ে কথা বলবো- যেসকল বিষয়ে কাজ পাওয়া যায় অনেক তাড়াতাড়া এবং ইনকাম হয় অনেক বেশি। চলুন জেনে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর বা প্রকার সম্পর্কে জানি-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক বড় একটি জায়গা দখল করে আছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি এবং এখান থেকে অনেক বেশি আয় হয়ে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা এখানে নিজস্ব কোন পণ্য থাকার প্রয়োজন হয় না। অন্য জনের পণ্য বা সেবা প্রচার করে, সেগুলো বিক্রির মাধ্যমে যে লাভ্যাংশ পাওয়া যায়, সেটিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
ভিডিও এডিটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে সফল একটি সেক্টর হলো ভিডিও এডিটিং সেক্টর। ফেসবুক, ইউটিউব বা ইনস্টাগ্রামের মত প্লাটফর্মে, গ্রহকদের আকৃষ্ট করার মত বিভিন্ন পণ্য বা সেবা প্রদান করা ভিডিও কন্টেন্ট তৈরী করা। যা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি প্রচলিত। যার কারণে ব্যবসা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে ইনকাম ও অনেক বেশি হয়ে থাকে।
মোবাইল মার্কেটিং: আরো একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর বা প্রকার হলো মোবাইল মার্কেটিং। মোবাইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস, এসএমএস সেন্ট করা এবং নোটিফিকেশন পাঠানোর মাধ্যমে মোবাইল ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা করাই হলো মোবাইল মাকেটিং।
লোকাল এসিও: আপনি আশে পাশে লক্ষ করলে দেখতে পারবেন, যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্টান গুলো রয়েছে, তারা বিভিন্ন অ্যাড বা ভিডিও বুস্ট করছে তাদের ব্যবাসা বৃদ্ধি করা জন্য। আর এটি করে থাকে একটি নিদিষ্ট এলাকা ভিত্তিক। সহজভাবে বলতে গেলে তার প্রতিষ্টানের আশে পাশে অঞ্চলকে টার্গেট করে তারা অনলাইনে প্রচার প্রচারণা করেন। সেটিকেই লোকাল এসিও বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ ডাটা এন্ট্রি কি মোবাইলে করা যায়
ডিসপ্লে মার্কেটিং: আপনি যদি একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি দেখে থাকবেন, কোন ভিডিও দেখার সময় বা গেমস খেলার সময় আপনার সম্পূর্ণ ডিসপ্লে জুরে একটি অ্যাড দেখা যায়। যা একটি নিদিষ্ট সময় পর কেটে দিতে হয়। আর ডিসপ্লে মার্কেটিংর মাধ্যমেই বিভিন্ন পণ্য বা সেবা প্রচারণা করা হয়।
এছাড়া ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো অনেক সেক্টর বা প্রকার রয়েছে। যেমন- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, পেইড অ্যাডভার্টাইজিং, ইমেইল মার্কেটিং, ই-কমার্স মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, ডিজিটাল অ্যানালিটিক্স এবং রিমার্কেটিং ও রিটার্গেটিং তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
লেখকের মন্তব্য: ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
প্রিয় পাঠক, আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে সে সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর বা কত প্রকার সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে একটি সমুদ্রের সাথে তুলনা করা হয়। যার এক একটি ফোটা উপরে উল্লেখিত সেক্টরগুলো।
এতক্ষত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এরকম আর্টিকেল পেতে অ্যামপ্লি ইনফোর সাথেই থাকুন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে কমেন্ট করুন এবং নিজে জানার পাশাপাশি অন্যদের জানার জন্য শেয়ার করুন। নিজে ভালো থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন, পৃথিবী হোক সুন্দরময়।
অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url