ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪ সম্পর্কে জানুন
প্রিয় পাঠক, ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪ সালে কত এবং সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে আর্টিকেলটিতে ক্লিক করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আজ আমি জানাবো ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪ কত এবং সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে।
এছাড়া আরো জানতে পারবেন, ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি, বিশ্বের কত শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা: ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪ - সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারা বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম গুলোতে প্রতিনিয়ত সফলতা অর্জন করছে। কিছু দক্ষ এবং অভিজ্ঞ সম্পূর্ণ ফ্রিল্যান্সাদের কারণে বাংলাদেশী ফ্রিলান্সাদের অবস্থান মজবুত হচ্ছে এবং তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করে বাংলাদেশের উন্নতিতে ভূমিকা রাখছে।
অন্যদিকে তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে দিন দিন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিন্তু তাদের রয়েছে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার অভাব। যার কুপ্রভাব বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অবস্থানের উপর পড়ছে। অনেক বেশি ফ্রিল্যান্সার তাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে পারছে বলে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অবস্থান নিম্নগামী হচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪
বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির বর্তমানে এই যুগে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানে না। যে কোনো বয়সের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং শেখার স্বপ্ন দেখে এমনকি বিভিন্ন অনলাইন অফলাইন কোর্স করে নানান ভাবে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টিকে বুঝার চেষ্টা করে, আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্যে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব কতটা, প্রয়োজনীয়তা কতটা এবং ফ্রিল্যান্সিং এ পৃথিবীর সব গুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় এ বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখা প্রতিটি নবিন ফ্রিল্যান্সার এর ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে জেনে নেয়া উচিৎ। ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিজের পজিশন এগিয়ে থাকা নির্ভর করে দক্ষতার উপর।
যে কোন একটি বিষয়ে স্কিল তৈরি করে উক্ত বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়ায় একটি সফল স্থান প্রতিষ্ঠা করে। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও বাংলাদেশের মানুষ কল্পনা করে নি যে তারা ল্যাপটপ, মোবাইল বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যাবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। মাত্র ১৫-২০ বছরের ব্যবধানে ২০২৪ সালের মে মাসে এক জরিপে জানা যায় পৃথিবীর সকল দেশের হায়ার কৃত ফ্রিল্যান্সার দের ৩০ টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ২৯ তম।
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম, ফ্রিল্যান্সিং পেশায় অর্থ উপার্জনের দেশ হিসাবে বাংলাদেশ অবস্থান পেয়েছে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর অবস্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত দেখতে পাই। সকল বয়সের মানুষ কিছু না কিছু স্কিল তৈরি করে অনলাইনে ইনকাম করছে। এর মাঝে ফেসবুক, ইউটিউব সব চেয়ে সহজ মাধ্যম।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
গৃহিণী থেকে শুরু করে শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রী সবাই দৈনন্দিন কাজের পাশে ফ্রিল্যান্সিং পেশা কে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সফলতার সাথে ইনকাম করছে। তবে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়াতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং অবস্থার অবনতি হয়েছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং অবস্থান ছিলো ২য়। এত অবনতির কারণ হিসেবে দেখা হয়, অভিজ্ঞতার অভাব। যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
তাই আমাদের ফ্রিল্যান্সিং অবস্থান ধরে রাখতে, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে কাজ করা উচিত এবং সে বিষয়ে নির্মিত প্র্যাকটিসের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করা উচিত। তাহলে আমরা বহির্বিশ্বে আমাদের ফ্রিল্যান্সিং অবস্থানকে ঠিক অপরের সারির দিকে দেখতে পারবে। যা আমাদের জন্য গৌরবের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
সারা বিশ্বে দিন দিন ফ্রিল্যান্সার বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বিশ্ববাজারে এই খাত থেকে ডলারের আয় ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় বেশি হওয়ার মূল কারন হলো, পুরো বিশ্ব জুড়ে তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং ডিজিটাল ইনকামের খাত বৃদ্ধি পাওয়া। বর্তমানে মানে বিশ্ব শ্রমবাজার ফ্রিল্যান্সারা অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে।
২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যত ডলারের বাজার রয়েছে তার পরিমান প্রায় ১.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ও বেশি। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও অন্যতম। এছাড়া ও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ ফিলিপাইন এই ফ্রিল্যাসিং বাজারে অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে।
বিশ্ব জুরে ফ্রিল্যান্সারা বিভিন্ন সুনামধন্য মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করছে। যেমন- ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম সহ অরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেগুলোতে কোটি কোটি ফ্রিল্যান্সারা বিভিন্ন খাত থেকে ইনকাম করছে। তার মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েব ডিজাইন।
এই ধরনের মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা যেমন অনেক বেশি, তেমনি এখানে বায়ারের সংখ্যা ও অনেক বেশি। তাই এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজের কোন অভাব হয়না। তার জন্য প্রয়োজন কোন বিষয়ে একটি নিপুন দক্ষতা। এছাড়া সমস্ত বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্টান ফ্রিল্যান্সারদের কাজ করিয়ে তাদের অগ্রগতির সাথে সাথে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করছে। মূলত এই কারণে বিশ্ব বাজারে ফ্রিল্যান্সিং বাজারে ডলারের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি?
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হলো Upwork। Upwork এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে কোটি কোটি ফ্রিল্যান্সারা কাজ করে থাকে এবং এই মাধ্যমে ক্লায়েন্টর সংখ্যা ও অনেক বেশি থাকে। যে কারণে সকল ফ্রিল্যান্সারদের নিকট সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ মার্কেট প্লেস হলো Upwork।
Upwork এ বিভিন্ন খাতে কাজ পাওয়ার সহজ হয় অন্যান্য যে মার্কেটপ্লেস গুলো রয়েছে তার তুলনায়। এখানে ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সহ আরো নানা ধরনের কাজ পাওয়া যায় খুব দ্রুত। এই প্লাটফর্মটি কোটি কোটি ফ্রিল্যান্সারদের ইনকামের একটি মাধ্যম হয়ে কাজ করছে।
Upwork এ ফ্রিল্যান্সারা তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নানা কাজ করে চলছে। আর ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেশি হওয়াতে বায়াররা তাদের পছন্দ মত কাজ করার অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে খুঁজে নিতে পারেন এবং যে কাজের যে পরিমান পারিশ্রমিক হওয়া প্রয়োজন সেই অনুযায়ী কাজ করে নিতে পারছেন।
কেবল মাত্র Upwork নয়, Fiverr এবং Freelancer.com ও বর্তমান সময়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং অনেক বেশি এগিয়ে। পুরো বিশ্ব জুড়ে অনেক ফ্রিল্যান্সারা এখানে কাজ করতে পারে। এই মাধ্যম গুলোতে ও ছোট থেকে বড় সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। তবু ও সব কিছু বিবেচনা করে এখন পর্যন্ত Upwork সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস।
বিশ্বের কত শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের
বিশ্ব ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের উপস্থিতি গ্রহনযোগ্য। ফ্রিল্যান্সিং বাজারে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারা অর্থনৈতিক দিক থেকে ভূমিকা রাখছে। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ভারত এবং ফিলিপাইনের পরে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং তাদের সফলতার হার চোখে পড়ার মত।
বিশ্বের ১৫ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এই সকল উন্নতির পিছনে রয়েছে, বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা এবং উন্নতমানের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা। এই সকল সুব্যবস্থা বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের উৎসাহিত করে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে সাহায্য করছে।
বাংলাদেশের তরুন প্রজন্ম বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে এই সকল কাজ অনেক উৎসাহ নিয়ে করছে। তাদের এই নিরলস পরিশ্রম এবং দক্ষতার কারনে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অর্থনৈতিক ভাবে সাহয্য করতে পারছে। যা বাংলাদেশের জন্য একটি সুগৌরবের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশ সফল সেটি প্রমান করছে।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত
বাংলাদেশে একদিকে যেমন চাকরির দিকে তরুণ প্রজন্মের চাহিদা বাড়ছে, অন্য দিকে কিছু যুবক ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরকে তাদের পেশা হিসেবে বেঁচে নিয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় তরুনদের উপস্থিতি বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে চাকরি বাজার অনেকটা কঠিন হওয়ায় এই পেশাকেই সহজ মনে করে থাকে।
২০২৪ সালের একটি জরিপে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখের ও বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এই ১০ লক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে থেকে প্রায় ৭ লাখের ও বেশি ফ্রিল্যান্সারা আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে আপওয়ার্ক, ফাইবার ও ফ্রিল্যান্সার ডট কম ছাড়া ও অন্যান্য মার্কেটপ্লেস।
ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করছে। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন খাত থেকে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারা বাৎসরিক ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ইনকাম করছে। যা বাংলাদেশের অবকাঠামো বা অর্থনৈতিক দিক থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ সরকারের উচিত বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে সকল প্রতিষ্টান রয়েছে, সেসকল প্রতিষ্টান গুলোতে আরো বেশি উন্নত করা উচিত এবং এই সকল সেক্টর থেকে ইনকামের একটি মাধ্যম তৈরী করা উচিত। কারণ এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি উজ্জ্বল ভবিষৎ রয়েছে। যা আমাদের অর্থনীতিতে কাজে আসবে।
লেখকের মন্তব্য: ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪ - সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে
প্রিয় পাঠক, আশা করি ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪ সালে কত এবং সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে সে সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত, ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি এবং বিশ্বের কত শতাংশ ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের তা জানতে পেরেছেন।
এতক্ষত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এরকম আর্টিকেল পেতে অ্যামপ্লি ইনফোর সাথেই থাকুন। কোন কিছু বুঝতে না পারলে কমেন্ট করুন এবং নিজে জানার পাশাপাশি অন্যদের জানার জন্য শেয়ার করুন। নিজে ভালো থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন, পৃথিবী হোক সুন্দরময়।
অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url