টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় - বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
প্রিয় পাঠক, আপনারা টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় এবং বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকের আর্টিকেলটি সেই বিষয়ের উপরেরই বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়েন, তাহলে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় এবং বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এছাড়া এই আর্টিকেলে আরো জানতে পারবেন- ব্যবসা করার আইডিয়া এবং ইনভেস্ট ছাড়া ব্যবসা কিভাবে ব্যবসা শুরু করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
পেস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা: টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় - বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
ব্যবসা করার জন্য টাকা খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না যদি আপনার একটি সঠিক পরিকল্পনা থাকে। কেবলমাত্র একটি সঠিক পরিকল্পনা এবং নিজের শ্রম দিয়ে বর্তমানে একটি ব্যবসা দাড় করানো সম্ভব। বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত সফলতায় ব্যবসা আরো অনেক বেশি সহজ হয়েছে। নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিণা টাকায় ব্যবসা করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ নতুন ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪
আপনি যে পেশার মানুষই হোন না কেনো আপনার যদি ব্যবসা সম্পর্কে নিপুন ধারণা, ব্যবসা করার মেধা ও শ্রম এবং সুপরিকল্পিত একটি গাইডলাইন আপনাকে টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপযুক্ত করে তুলবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অল্প কিছু পরিমান টাকা হতে পারে। যা প্রতিটি ব্যাবসার ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয়ে থাকে।
টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায়
টাকা ছাড়া ব্যবসার কথা শুনে অবাক হচ্ছেন? কিভাবে টাকা ছাড়া ইনকাম করা সম্ভব? জ্বি টাকা ছাড়া ও ব্যবসা করা সম্ভব এবং সেটি অনেক বড় আকারে করা সম্ভব। অনেকেই ভাবছেন যেখানে টাকা ছাড়া ব্যবসা, সেখানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু না সঠিক পরিকল্পনা করে যদি কোন ব্যবসা দাঁড় করানো যায়। তাহলে সেখান থেকে সফল হওয়া এবং টাকা ইনকাম করা সম্ভব। চলুন জেনে নেই টাকা ছাড়া ব্যবসা করার কিছু উপায় সম্পর্কে-
টিউশনি করে: আপনি হয়তো ভাবছেন টিউশনি আবার ব্যবসা হয় কিভাবে। তাহলে চলুন সে সম্পর্কে বলা যাক। ধরুন আপনার টাকা ছাড়া ব্যবসা করে ইনকাম করে কত টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন? ১০ হাজর? ২০ হাজার? এর বেশি তো আপনি কল্পনা ও করেন না। আর এর বেশি চিন্তা করা ও উচিত হবে না।
কিন্তু আমি আপনাকে যদি বলি টিউশনি করে একজন বিসিএস ক্যাডারের থেকে ও বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব? আপনি বিশ্বাস করবেন? জ্বি আপনি বিশ্বাস করতে বাধ্য। কারন আমার দেখা অনেক জন টিউশন করে থেকে প্রতি মাসে ৫০০০০ টাকা বা তার বেশি টাকা ইনকাম করছেন। তারা এখন সবকিছু বাদ দিয়ে টিউশনিকে পেশা হিসেবে নিয়েছে।
আপনার যদি পূর্বে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তাহলে আপনি ও টিউশনি করাতে পারেন। বিনা টাকায় কেবলমাত্র আপনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মাসে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি ব্যাচ হিসেবে পড়াতে পারেন তাহলে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা কোন ব্যাপারই না। তাই আপনি যদি টাকা ছাড়া কোন কিছু করতে চান টিউশনি করাতে পারেন।
হস্তশিল্পের কাজঃ আপনি যদি হস্তশিল্পের কোন কাজ জেনে থাকেন, তাহলে সেটি নিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। রেডিমেট এর এই যুগে মানুষ হস্তশিল্পকে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে। হস্তশিল্পের কাজে তারা তাদের আভিজাত্যকে খুঁজে পায়। যা তার সৌখিনতার সাথে অনেক ভালো দামে ক্রয় করতে ও পিছু পা হয় না।
হস্তশিল্পের নানা কাজ রয়েছে, আপনি যদি একটি কাজ ও জেনে থাকেন, তাহলে সেটি দিয়েই আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং মাস শেষে একটি মোট অংকের টাকা আপনার পকেটে। আপনি যদি আড়ং সুপার শপের দিকে তাকান, তাহলে বুঝতে পারবেন হস্ত শিল্পের মূল্য বা কদর মানুষ কিভাবে করে থাকে। দাম অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই তা কিনছেন।
আপনি শুরুর দিকে অল্প কিছু পণ্য নিয়ে শুরু করুন এবং নিজে সেগুলো বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে বিক্রি বেশি হওয়া শুরু হলে, সেখান থেকে টাকা জমিয়ে বড় আকারে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ব্যবসাতে উন্নতি শুরু হলে তা ব্রান্ড হিসেবে তৈরী করা শুরু করুন। তাবে তার আগে আপনাকে অনেকটা পরিশ্রম করে এই পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে।
খাবার তৈরীর কাজঃ বর্তমান সময়ে হোটেলের বা প্যাকটে জাত খাবার খেতে খেতে তার প্রতি সকলে অনিহা চলে এসেছে। সবাই হাতে তৈরী খারার বা ঘরোয়া খাবার খেতে পছন্দ করে এবং সেগুলো তাদের তৃপ্তি যোগান দেয়। প্যাকেট জাত খাবারে স্বাদ বাড়ানো জন্য তারা অতিরিক্ত মশলা বা ক্যামিকেল ব্যবহার করে থাকে।
আর হোটেলের খাবার তো অতিরিক্ত তেলের জন্য অনেকেই খেতেই পারবেন না। তাই আপনি যদি ঘরোয়া খাবার তৈরীতে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে দেরি না করে আজ থেকেই ঘরোয়া খাবার তৈরী করতে পারেন। শুরুর দিকে পরিচিতদের দিয়ে শুর করতে পারেন এবং এখান থেকে সফল হলে আস্তে আস্তে আপনার ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি করতে পারেন।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
বর্তমান সময়ে অনেক লাভজনক ব্যবসা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যবসা ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে, যে কারনে ইনকামের সহজ মাধ্যম হিসেবে অনেকেই ব্যবসা কে বেঁচে নিচ্ছেন। এর মূল কারণ হলো অন্যান্য পেশার তুলনায় ব্যবসা থেকে অতিদ্রুত ইনকাম করা যায় এবং এর অর্থনৈতিক পরিধী দ্রুত বৃদ্ধি করা যায়।
কিন্তু আমরা অনেকেই ভেবে পাইনা কি নিয়ে ব্যবসা করবো, কোথায় থেকে শুরু করবো এবং এর ভবিষৎ নিয়ে চিন্তা করি। আমরা ধারণা করি যদি ব্যবসাতে লস হয় তাহলে কি হবে? তাই আপনাদের সুবিধার্থে এমন কিছু ব্যবসা নিয়ে কথা বলবো যেগুলো অনেক বেশি লাভজনক ব্যবসা। আর লস হলেও অনেক কম লস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলুন জেনে নেই-
ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসাঃ এই যুগে অনলাইন ব্যবসার চাহিদা অনেক বেশি এবং দিন দিন তা বেড়েই চলছে। এই ব্যবসাতে আপনি আপনার নিজের তৈরী পণ্য বিক্রি করতে পারবেন অথবা অন্য কারোর পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে অললাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং এখান থেকে অনেক অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
অনলাইন ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা, যেখানে আপনার পণ্য না থাকলে ও হবে। অন্যের পণ্য ও বিক্রি করতে পারবেন। তার জন্য একটি অনলাইন মাধ্যম প্রয়োজন, হতে পারে সেটি দারাজ অথবা ফেসবুকের কোন সেলিং গ্রুপ। যেখানে আপনি পণ্যের ছবি সহ দাম নিধারণ করে দিবেন। গ্রহকরা সেখান থেকে আপনার পণ্যটি যাতে ক্রয় করতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো আমি তো এই অনলাইন ব্যবসাতে নতুন। আমি কি পণ্য দিয়ে ব্যবসা শুরু করবো। আপনার আশে পাশে খোঁজ খবর নিন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের এবং আপনার প্রতি বেশিদের প্রতিদিন কি কি পণ্যের প্রয়োজন হয় সেসকল পণ্য নিয়েই শুরু করতে পারেন। বর্তমানে তৈরী পোশাক, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, হোমমেট খাবার এবং ঘর সাজানো পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। আর এই সকল পণ্যে লাভের পরিমানটা ও অনেক বেশি হয়ে থাকে।
অর্গানিক পণ্য উৎপাদনঃ বর্তমানে ফরমালিনের এই জগতে সবাই অর্গানিক পণ্যের কদর করতে জানে। সামাজে অর্গানিক পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। তার মধ্যে রয়েছে অর্গানিক খাদ্য সামগ্রী, অর্গানিক স্কিন কেয়ার পণ্য এবং স্বাস্থকর খাবার সামগ্রীর ব্যবসা অনেক বেশি লাভজনক হয়ে থাকে।
আপনি গ্রাম বা শহর যেখানেই বাস করেন না কেনো আপনি সবসময় অর্গানিক পণ্যটি খুঁজে থাকেন। সেটি খাবার হোক বা ব্যবহারের পণ্য। বর্তমানে সবাই অনেক স্বাস্থ সচেতন, যেকারণে অর্গানিক দ্রবাদির চাহিদা সবারই রয়েছে। দাম বেশি হলেও সবাই এখন অর্গানিক পণ্য ক্রয় করে থাকেন।
তাই আপনি যদি ব্যবসা করতে চান, তাহলে অর্গানিক পণ্য নিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যার মধ্যে থাকতে পারে শাক-সবজি, ফল-মূল, প্রসাধনী যে সকল আইটেম রয়েছে- ক্রিম, ফেসওয়াস বা অন্য কোন পন্য। তবে এগুলোর যাতে কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এই পন্য গুলোর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং বিক্রি ও অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই অর্গানিক পণ্যের ব্যবসা লাভজনক।
ইনভেস্ট ছাড়া ব্যবসা
ইনভেস্ট ছাড়া ব্যবসা শুরু করা অসম্ভব মনে হলে ও তা বাস্তবে সম্ভব। যেখানে কেবল মাত্র আপনার দক্ষতা, সৃজনশীলতা কে কাজে লাগিয়ে ইনভেস্ট ছাড়া ব্যবসা করা সম্ভব। অন্যদের থেকে আলাদা কিছু চেষ্টা করা, চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আনা আপনাকে একটি বড় ব্যবসার অংশীদার তৈরী করতে সক্ষম।
টেইনার বা মেন্টর হওয়াঃ টেইনার বা মেন্টর হতে কোন টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না। কেবলমাত্র আপনার প্রয়োজন হয় মেধা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা। যেখানে কতৃপক্ষ আপনাকে টাকার বিনিময়ে হায়ার করবে এবং আপনি তাদের সেবা প্রদান করবেন। সেটি হতে পারে কোন জিম বা কোন আইটি সেক্টরে। যেখানে একটি নিদিষ্ট সময় অনুযায়ী প্রশিক্ষন প্রদান করবেন।
জিম সেন্টারে অনেক দক্ষ প্রশিক্ষকের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই ধরনের ব্যবসা সম্পূর্ণ নির্ভর করে টেইনারের উপর। টেইনার যত ভালো হবে ব্যবসা ততবেশি ভালো হবে। আইটি ক্ষেত্রে ও একই একজন ভালো মেন্টর পারেন, সেই আইটি সেক্টরকে একধাপ এগিয়ে নিতে। তাই আপনার মধ্যে যদি টেইনার বা মেন্টর হওয়ার যোগ্যতা থাকে, আপনি এই পেশায় যোগদান করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
কন্টেন্ট তৈরী: একটি ভালো কন্টেন্ট কোন একটি বিষয়কে সর্বোত্তম ভাবে প্রকাম করতে পারে। আপনি এখন যেটি পড়ছেন, এটি একটি কন্টেন্ট। এই কন্টেন্টটি আপনাকে ভালো ভাবে বোঝাতে পারছে বলেই আপনি এই কন্টেন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছেন। সে জন্য একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার হলে আপনার কদর সব জায়গাতেই রয়েছে।
আপনি যদি একজন ভালো রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে বিভিন্ন মাধ্যম গুলোতে যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব বা ব্লগিং এ কাজ করতে পারেন। এই কাজের জন্য আপনাকে কোন ইনভেস্ট করতে হবে না। কেবল মাত্র আপনার লেখার দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। আর বর্তমান সময়ে একজন কন্টেন্ট রাইটারের কতট প্রয়োজন তা অনলাইন মাধ্যম গুলোতে গেলেই বুঝতে পারবেন।
ব্যবসা করার আইডিয়া
বাংলাদেশে ব্যবসা করার মত অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। যে ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবসা করা অনেকটা লাভজনক। বাংলাদেশে ব্যবসা করা অনেকটা কঠিন জন সাধারনের জন্য। কিন্তু যারা বুদ্ধিমান এবং অনেকটা দক্ষতার সাথে কাজ করে তাদের জন্য অনেকটাই সহজ। চলুন জেনে নেই কিছু ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে-
মুদি দোকনঃ আপনি শহর, গ্রাম বা বাংলাদেশের যেখানেই বাস করেন না কেনো এই ব্যবসাতে শতভাগ সফলতার সম্ভাবনা রয়েছে। কেবলমাত্র একটি ভাল অবস্থান ভেদে মুদি দোকান দেয়া প্রয়োজন। যেখানে আপনি শাক-সবজি থেকে শুরু করে, আমাদের প্রতিদিন প্রয়োজন হয়, তা বিক্রি করুন। এই ব্যবসাতে প্রচুর লাভ রয়েছে।
সুপারফুড বিজনেসঃ যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা অবশ্যই নানা ধরনের সুপারফুড সম্পর্কে জানেন বা পরিচিত। সামাজিক গত উন্নতির সাথে সাথে মানুষের চিন্তা চেতনা পরিবর্তন হচ্ছে, সাথে কিভাবে নিজেকে ভালো রাখা যায়। সে বিষয়েও সচেতন হচ্ছেন। তাই এই সকল সুপারফুডের চাহিদা অনেক বেশি।
সুপারফুড বলতে সেই সকল খাবারকে বুঝানো হয়- যে খাবারগুলো আমাদের শারীরিক, মানসিক ভাবে ভালো রাখার পাশাপাশি আমাদের বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে। এই সুপারফুড গুলোর মধ্যে রয়েছে- চিয়া সিড, কাজু বাদাম, আখরোট, কুইনোয়া সহ আরো নানা ধরনের খাবার রয়েছে। যেগুলো দৈহিক বিকাশে কার্যকারি। আপনি এই সকল পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেঃ অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হলো রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফে এর ব্যবসা। এই ব্যবসা লাভজনক একটি ব্যবসা। প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করতে পারেন। যেখানে সর্ব সাধারণ সবাই যেতে পারবে এবং খেতে পারবে। বাংলা খাবার রাখার পাশাপাশি কিছু ফাস্টফুট আইটেম আপনার রেস্টুরেন্টে রাখুন। এছাড়া কমল পানীয় এবং চা-কফি রাখতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য: টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় - বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
প্রিয় পাঠক, আশা করি টাকা ছাড়া ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে এবং বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ব্যবসা কেবল মাত্র টাকা ইনভেস্ট করেই হয় না। টাকা ছাড়া ও ব্যবসা করা যায়, কেবলমাত্র নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা দাঁড় করানো যায়।
ব্যবসা শুরু করতে অনেকেই অনেক কথা বলবে- আপনার ব্যবসা টিকবে না, আপনি ব্যবসা লস করবেন এমন নানা কথা বলবে। তবে তাদের কথায় কান না দিয়ে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করতে থাকুন সফলতা আসবেই। সব কিছু বৃথা গেলেও আপনার পরিশ্রম কখনো বৃথা যাবে না এটি ভেবে আপনি আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে চলুন।
এতক্ষন আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।এ রকম তথ্য বহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে অ্যামপ্লি ইনফোর সাথে থাকুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভালো থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন, পৃথিবী হোক সুন্দরময়।
অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url