হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ৭টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক, হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি কি হতে পারে এবং হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কি তা জানার ইচ্ছা নিয়ে আর্টিকেলটিতে ক্লিক করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে।
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়
এছাড়া হাই প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত, হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না এবং দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র: 

হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

হাই প্রেসার সাধারণত হঠাৎ করেই হয়ে থাকে এবং এটি যেকোন সময় হতে পারে। তাই হঠাৎ হাই প্রেসার হলে আমরা যেকোন পরিস্থিতিতে যেন স্বাভাবিক হতে পারি, সেজন্য যরোয়া কিছু নিয়ম বা উপায় জেনে রাখা ভালো। হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো খুবই সহজ এবং যা অতিদ্রুত হাই প্রেসার থেকে মুক্তি দিতে পারে। চলুন জেনে নেই হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে-
হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে প্রথম উপায়টি হলো দীর্ঘ শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়া। হাঠাৎ করে হাই প্রেসার বেড়ে গেলে একটি নিদিষ্ট জায়গায় বসুন অথবা শুয়ে পড়ুন। এবার ধীরে ধীরে দীর্ঘ শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে তা ছাড়ুুন। এতে করে আপনার শরীর অনেকটা রিল্যাক্স হবে এবং ধীরে আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে।
হঠাৎ হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর আরো একটি কার্যকারী উপায় হলো কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়া। প্রথমে ১ থেকে ২ টি রসুনের কোয়া ভালো ভাবে ধুয়ে নিন এবং তা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। আপনার যদি রসুনের কোয়া চিবিয়ে খেতে সমস্যা হয়, তাহলে রসুনের রস বের করে তা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে আপনার হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে।

হঠাৎ হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পেতে আপনি গোলাপজল ও ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য একটি পরিষ্কার পাত্রে গোলাপজল নিয়ে তা তুলার বলের সাহায্যে কপাল ও ঘাড়ে ভালো ভাবে লাগান। গোলাপজল কপালে ও ঘাড়ে লাগানোর ফলে আপনার মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকবে এবং ঘাড়ের রগ গুলো স্বাভাবিক থাকবে। আর এ কারনে আপনি উচ্চ রক্তচাপ থেকে ততক্ষনাৎ মুক্তি পেতে পারেন।

হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে আরো একটি উপায় হলো পায়ে গরম পানির সেঁক দেওয়া। তার জন্য একটি বালতি বা পাত্রে হালকা গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন অথবা হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে পায়ে গমর সেঁক দিন। এটি দেওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ মাথা থেকে নেমে পায়ের দিকে চলে যায় এবং ধীরে ধীরে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।
হঠাৎ হাই প্রেসারের জন্য লেবুর রস বা লেবু পানি বেশ উপকারী হয়ে থাকে। সেজন্য প্রথমে একটি গ্লাসে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে চায়ের মত করে খেতে পারে। এছাড়া শুধু লেবুর রস ও সরাসরি খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে রক্তনালী স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

তুলসি পাতা বা তুলসি পাতার রস হাই প্রেসার কমাতে বিশেষ একটি উপাদান। প্রতিদিনে সকাল করে খালি পেটে ৪ থেকে ৫ টি তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা তুলসি পাতার রস করে গরম পানির সাথে খেতে পারেন। এতে করে আপনার উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়

আমাদের হাই প্রেসার হঠাৎ করেই হয়ে থাকে। তার জন্য অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, সুষম খাদ্য গ্রহন না করা এবং অস্বাস্থ্যকর বা তেল চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহন প্রধান কারন হিসেবে দায়ী করা হয়। তাই হঠাৎ হাই প্রেসার হলে কিছু করণীয় রয়েছে, যেগুলো প্রেসার হলে অবশ্য করণীয় যা আপনাকে প্রেসার থেকে মুক্তি দিতে পারে। চলুন জেনে নেই হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কি কি-

প্রথমত, নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখুন। যদি কোন বিষয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন, তা পরিহার করুন। যে অবস্থায় থাকুন না কেনো সাথে সাথে বসে পড়ুন, প্রয়োজন হলে শুয়ে পড়ুন। চেষ্টা করুন মাথা কোন কোন দুশ্চিন্তা না আনার। বড় বড় নিশ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এতে করে আপনার মানসিক চাপ অনেকটা কমে যাবে এবং হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাবেন।
দ্বিতীয়ত, যত তাড়া তাড়ি সম্ভব আপনার প্রেসার মাপার চেষ্টা করুন। বর্তমান সময়ে অনেক কম দামে ভালো মানের ডিজিটাল প্রেসার মাপার যন্ত্র পাওয়া যায়। তা ক্রয় করে হাতে নাগালেই রাখুন যাতে যে কোন সময় তা ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত প্রেসার মাপুন। যদি প্রেসার ১২০ বাই ৮০ থেকে বেশি হয়ে থাকে। তাহলে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করুন।

তৃতীয়ত, যথা সম্ভব ঠান্ডা পানি পান করুন। হঠাৎ হাই প্রেসারের জন্য ঠান্ডা পানি বেশ কার্যকারী হয়ে থাকে। ততক্ষনাৎ পানি পান আপনার হাই প্রেসারকে নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ করে। এছাড়া হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পেতে আপনার খাবার তালিকা থেকে লবণযুক্ত খাবার বর্জন করুন। যদি সম্পূর্ন ভাবে পরিহার সম্ভব না হয়, তাহলে লবণের ব্যবহার কমিয়ে দিন।

চতুর্থ, পটাশিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহন করার চেষ্টা করুন। পটাশিয়াম যুক্ত খাবার হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। তার জন্য আপনি কলা বা কমলা খেতে পারেন। কলা ও কমলাতে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম বিদ্যমান থাকে। হাই প্রেসার না হলেও চেষ্টা করুন নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কলা বা কমলা জাতীয় খাবার রাখার। তাহলে আপনার হাই প্রেসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।
পঞ্চম, কিছু নিদিষ্ট কিছু কাজ এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি ধূমপান করে থাকেন তাহলে ধূমপান এড়িয়ে চলুন। যদি চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে তা পরিহার করুন। কারণ অতিরিক্ত ধূমপান এবং চা-কফি পান করার ফলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া শারিরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন।

ষষ্ঠ, উচ্চ রক্তচাপ অনেক বেশি হলে এবং এর সাথে বুক ব্যথা, মাথা ব্যথা, শ্বাস কষ্ট এবং চোখে ঝাপসা দেখার মত সমস্যা হলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ মতে জীবন যাপন করুন, ঔষধ গ্রহন করুন এবং খাদ্যাভাসে পরিবর্তন নিয়ে আসার চেষ্টা করুন।

দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

হাই প্রেসার হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। হঠাৎ হাই প্রেসার বেড়ে গেলে দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর কিছু সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় এতে দ্রুত হাই প্রেসার কমানো সম্ভব বলে পরীক্ষিত। শরীরের রক্তচাপ হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেলে তাৎক্ষনিক বিশ্রাম নেয়া বা শুয়ে পড়া উচিৎ এতে শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়।
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর তাৎক্ষনিক উপায়:
  • গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া অথবা ডিপ ব্রেথিং এর মাধ্যমে দ্রুত হাই প্রেসার কমানো যায়। এ ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ত্যাগ করতে হবে। এই মাধ্যমে সাময়িকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • শরীরে পানি শূন্যতার কারনে হাই প্রেসার হতে পারে। তাই ১ থেকে ২ গ্লাস পানি পান করার মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ভাবে হাই প্রেসার কমানো যায়। মানসিক চাপের কারনে হাই প্রেসার হলে শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশে বিশ্রাম করা প্রয়োজন। অনেক সময় ঘাড় বা মাথার স্কাল্প ম্যাসাজ করলে রক্তচাপ অনেকাংশে কমে যায়।
দ্রুত হাই প্রেসার কমাতে দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন:
  • পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, বাদাম, কিশমিশ, কমলা, তরমুজ খেলে হাই প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেট খেলে হাই প্রেসার কমে যায়। কাঁচা রসুন রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। তাই নিয়মিত ১ থেকে ২ কোয়া কাঁচা রসুন চেবে খেতে পারেন। হাই প্রেসার কমানোর জন্য তেল, ঘী, মাখন, চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। ধুমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে। ভারী শারীরিক কাজ ও মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকুন।
  • যেহেতু হাই প্রেসার একটি নীরব ঘাতক তাই শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ চাপ। ধমনিতে এর বেশি রক্তের চাপ পড়লে রক্তচাপ বৃদ্ধিপায়। উপরক্ত তথ্য সমূহ সাধারণ ধারনার জন্য যা মেনে চলা প্রত্যেকটি রক্তচাপে ভোগা ব্যাক্তির মেনে চলা প্রয়োজনীয়। দীর্ঘমেয়াদি ও গুরুতর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না

হাই প্রেসার হলে আমাদের উচিত নিদিষ্ট কিছু খাবার পরিহার করা। কারন এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে দিতে পারে। যা একটি সময় গিয়ে হৃদরোগ বা বিভিন্ন স্ট্রোকের হওয়ার ঝুকির কারন হয়ে দাঁড়ায়। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে খাবারের প্রতি সচেতন হওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেই হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বা লবণ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ অতিরিক্ত লবণ আমাদের উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রধান কারণ। লবণে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি থাকে তাই লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ অধিক পরিমানে বেড়ে যায়। সেজন্য আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
চর্বিযুক্ত খাবার হাই প্রেসার হলে এড়িয়ে চলা উচিত। তার মধ্যে গরুর মাংস বা গরুর মাংসের চর্বি, দুধের সর, তেলে ভাজা খাবার, বীজ বা বাদাম জাতীয় খাবার অন্যতম। এই খাবার গুলো খেলে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং রক্তনালীগুলো সংকুচিত করে, যার ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্যাকেটজাত খাবার ও হাই প্রেসার বাড়ানোর কারণ হতে পারে। বাজারে সাধারণত যে সকল প্যাকেটজাত খাবার পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্যাকেটজাত খাবারে অধিক পরিমানে লবণ ও চর্বি বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত হাই প্রেসার হলে এই ধরনের প্যাকেট খাবার এড়িয়ে চলা।
সাদা চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে ও আমাদের উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে আমাদের ওজন ও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ইনসুলিন রোধে কাজ করে। তাই হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পেতে বা হাই প্রেসার অবস্থায় সুস্থ্য থাকতে সাদ চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বর্জন করুন।

কোমল পানীয় বা অ্যালকোহল উচ্চ রক্তচাপ বাড়ানোর কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ। বাজারে যে সকল কোমল পানীয় পাওয়া যায়, সেগুলো অধিকাংশ কেমিক্যাল দিয়ে তৈরী হয়ে থাকে। যা উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান বা অ্যালকোহল উচ্চরক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি চা-কফি ও পরিহার করা উচিত।

হাই প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত

হাই প্রেসার হলে নিদিষ্ট কিছু ফল রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের হাই প্রেসার অতিদ্রুত কমে যায়। যেধরনের ফলগুলোতে অধিক পরিমানে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় উপাদান থাকে সে সকল ফল বেশি বেশি খাওয়া উচিত। তাহলে আমরা উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পেতে পারি। চলুন জেনে নেই হাই প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত।
হাই প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত
  • কলা: হাই প্রেসার হলে কলা খাওয়া খাওয়া উচিত। কারণ কলাতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়া এবং আঁশ প্রচুর পরিমানে থাকে। যা আমাদের অতিরিক্ত প্রেসার কমাতে সাহায্য করে।
  • লেবু জাতীয় ফল: কমলা, মাল্টা এবং লেবুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকে যা আমাদের রক্তনালীকে প্রশস্ত করে এবং আমাদের হার্ট ভালো রাখে পাশাপাশি আমাদের হাই প্রেসার কমাতে সাহায্য করে।
  • ডালিম অথবা আনার: হাই প্রেসার হলে ডালিম বা আনার খাওয়া যেতে পারে। কারণ ডালিম এবং আনারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল থাকে। যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দিতে সহায়তা করে।
  • তরমুজ: তরমুজ একটি পানি জাতীয় ফল হওয়াতে এটি আমাদের শরীর হাইড্রেট বা শীতল রাখে। যা হাই প্রেসারের সময় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন। এছাড়া তরমুজে রয়েছে লাইকোপিন ও পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং নিয়ন্ত্রনে আনাতে সহায়তা করে।
  • আমলকি: আমলকি এমন একটি খাবার যা উচ্চ রক্তচাপসহ নানা ধরনের রোগের সমাধান করতে পারে। কারণ আমলকিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি বিদ্যমান। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বিভিন্ন রোগের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভাবে কাজ করে।
  • পেঁপে: হাই প্রেসার হলে তা নিয়ন্ত্রনে পেঁপে ও খাওয়া যেতে পারে। পেঁপেতে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম ও ফাইবারের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা আমাদের অতিরিক্ত রক্তচাপ কমিয়ে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।
  • বেরি জাতীয় ফল: বেরি ফল নানা ধরনের হয়ে থাকে, যার মধ্যে স্ট্রবেরি, রাসবেরি, ব্লাকবেরি এবং ব্লুরেরি বেশ কার্যকারি হয়ে থাকে হাই প্রেসারের জন্য। এই ধরনের বেরি ফলগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান, যা আমাদের রক্তনালীগুলোকে ভালো রাখে এবং সুংকুচিত হওয়া থেকে রোধ করে হাই প্রেসার কমাতে কাজ করে।
  • আপেল: হাই প্রেসার হলে আপেল ও খাওয়া যেতে পারে। কারণ আপেলে অধিক পরিমানে ডায়েটারি ফাইবার এবং পলিফেনল থাকে, যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
  • কিউই: কিউই ফলকে ভিটামিন সি এর ভান্ডার বলা হয়। এটি খাওয়ার ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আমাদের স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
  • আমড়া: উচ্চ রক্তচাপের বিপরীতে আমড়া খাওয়া যেতে পারে। কারণ আমড়াতে পটাশিয়াম ও ফাইবার রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভাবে কাজ করে।
  • চেরিফল: হাই প্রেসারে ঔষধ হিসেবে কাজ করে চেরিফল। চেরিফলে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম থাকে যা আমাদের ‍উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে।

লেখকের মন্তব্য: হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় - হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়

প্রিয় পাঠক, আশা করি হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি কি এবং হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এছাড়া দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়, হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না এবং হাই প্রেসার হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন।

হাই প্রেসার অনেক বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা বা ঔষধ গ্রহন করুন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url