এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা হলে করনীয় কি

প্রিয় পাঠক, এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা হলে কি করতে হবে এবং এম এম কিট খাওয়ার পর করনীয় কি সে সম্পর্কে জানেন না বলেই আর্টিকেলটিতে ক্লিক করেছেন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন- এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথায় কি করা উচিত এবং এম এম কিট খাওয়ার পর করনীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা
এছাড়া এম এম কিট খাওয়ার কতক্ষণ পর মাসিক হয়, এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম, এম এম কিট এর কাজ কি এবং এম এম কিট এর দাম কত সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্র: এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা - এম এম কিট খাওয়ার পর করনীয় 

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম - এম এম কিট এর কাজ কি

এম এম কিট হলো এমন এক ধরনের ঔষধ, যা খাওয়ার ফলে অবাঞ্ছিত গর্ভপাত হয়ে থাকে। যাতে সর্বোমোট ২ ধরনের ৫টি ট্যাবলেট থাকে এবং সেগুলো নিদিষ্ট সময় পর পর খেতে হয়। প্রথমে বড় ট্যাবলেটটি খেতে হয় এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে ছোট ৪ টি ট্যাবলেট গলিয়ে খেতে হয়। ২ ধরনের ট্যাবলেট গুলোর মধ্যে ছোট ট্যাবলেট গুলো হলো মিসোটল এবং বড় যে একটি ট্যাবলেট থাকে সেটির নাম মিফটোন।

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম:
মিফটোন: এটি হলো সবচেয়ে বড় ট্যাবলেটটি। এতে ২০০ এমজি মিফেপ্রিস্টোন থাকে। যা প্রাথমিক গর্ভাবস্থায় খেতে হয়। এটি খাওয়ার ফলে গর্ভে থাকা প্রোজেস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পেতে বাধার সৃষ্টি করে। যা গর্ভে থাকা ভ্রূণের বৃদ্ধি প্রতিরোধে কাজ করে। এই মিফটোন ঔষধটি গর্ভের আস্তরণকে পাতলা করতে সাহায্য করে এবং জরায়ুর সাথে ভ্রনের সম্পর্ক আলাদা করে থাকে।

মিসোটল: এটি হলো ছোট ৪ টি ট্যাবলেট। এতে ২০০ এমজি মিসোপ্রোস্টল থাকে। এটি প্রথম ঔষধটি খাওয়ার প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে এই মিসোটল চারটি জিভ বা মাড়িতে রাখতে হয়ে। আপনি ২ ভাগে ভাগ করে ২ পাশের মাড়িতে রাখতে পারেন। এটি কোন মতেই পানি দিয়ে খাওয়া যাবে না। আপনা আপনি গলে যাবে। এটি এটি গলিয়ে খাওয়ার ফলে জরায়ুর রাস্তা সংকুচিত হয়ে আসে এবং কিছু সময়ের মধ্যে রক্তপাতের মাধ্যমে গর্ভপাত হয়ে থাকে।

মিসোটল গলিয়ে খাওয়ার ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে আপনার রক্তপাত শুরু হবে। কারো কারো ক্ষেত্রে ১ দিন বা তার বেশি ও সময় লাগতে পারে। এই মাসিক ৫ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এছাড়া মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই সময় সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে না খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

এই সকল ঔষধ কখনোই একা একা ক্রয় করে খাবেন না বা খাওয়াবেন না। এটি খাবার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার যেভাবে খেতে বলে সেভাবেই খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডাক্তারের পরামর্শে না খেলে এটি শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটি খাওয়ার ফলে মাসিকের সমস্যা সহ অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

এম এম কিট খাওয়ার পর করনীয়

এম এম কিট খাওয়ার পর কিছু অবশ্য করনীয় বিষয় রয়েছে যেগুলো পর্যবেক্ষন করতে হবে। পাশাপাশি শারীরিক যত্ন নিতে হবে এবং বেশ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো বর্জন করে চলতে হবে। এম এম কিট খাওয়ার পর আপনার শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলো মেনে নেওয়ার মত মানসিক শক্তি থাকতে হবে। চলুন জেনে নেই এম এম কিট খাওয়ার পর করনীয় কি-

এম এমটি খাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আপনার রক্তপাত শুরু হবে। অন্যান্য মাসিকের তুলনায় রক্তপাত বেশি হতে পারে। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই এটি স্বাভাবিক গর্ভপাতের একটি প্রক্রিয়া। তবে অনেক বেশি রক্তপাত হলে, অবশ্যই ডাক্তারের পরার্মশ নিতে পারেন। এই রক্তপাত ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত বা তার বেশি হতে পারে।

এম এম কিট খাওয়ার পর আপনার মাথা ঝিম ঝিম করা বা তলপেট ব্যথা হওয়ার মত সমস্যা হতে পারে। এছাড়া শরীর অনেক দুর্বল হতে পারে। তাই এই সময় কোন কাজ করবেন না। যথা সম্ভব বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া ভারী কোন কাজ থেকে দূরে থাকুন। অনেক বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথানাশক ঔষধ খেতে পারেন।

এম এম কিট খাওয়ার পর আপনাকে যথা সম্ভব পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করতে হবে। কারণ অধিক রক্ত ক্ষরনের ফলে আপনার শরীর ক্লান্ত হতে পারে। সেজন্য আয়রন বা প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া সবচেয়ে উত্তম। এছাড়া প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। পানি পান করার ফলে আপনার শরীর স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

এম এম খাওয়ার ১ দিনের মধ্যে যদি আপনার রক্তপাত না হয়, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি রক্তপাত হয়ে যায়, তাহলে আপনার রক্তপাত বন্ধ হয়ে গেলে। ডাক্তারের পরামর্শে একটি চেকআপ করে নিতে পারেন। যাতে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনার সঠিকভাবে গর্ভপাত হয়েছে কিনা বা কোন সংক্রমন বাসা বেধেছে কিনা।

এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা

এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা হওয়া সাধারন একটি বিষয়। এই সময় তলপেট ও কোমর অনেক ব্যাথা হয়ে থাকে। এম এম কিট খাওয়ার পর জরায়ু সংকুচিত হতে শুরু করে, সে কারনেই এই ব্যথার সৃষ্টি হয়। এই ব্যথা গুলো সাধারন মাসিকের ক্ষেত্রে ও হতে পারে। তবে ব্যাথা অধিক পরিমানে হলে নিম্নউক্ত উপায় গুলো অনুসরন করতে পারেন।

ব্যাথার পরিমান যদি অনেক বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথানাশক ট্যাবলেট খেতে পারেন। এক্ষেত্রে আইবুপ্রোফেন বা প্যারাসিটামল খেতে পারেন। যা আপনার ব্যথা কমাতে উপকারী হতে পারে। তবে ব্যাথা অনেক বেশি সেজন্য অধিক ট্যাবলেট গ্রহন করা যাবেনা। ডাক্তার যেভাবে খেতে বলে সেভাবে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ব্যাথা অনেক বেশি হলে গরম পানির ছেক নিতে পারেন। হট ওয়াটার ব্যাগ থালে তা গরম করে আপনার ব্যথা হওয়া স্থানে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ছেক দিন। আর হট ওয়াটার ব্যাগ যদি না থাকে তবে পানি গরম করে বোতলে করে ছেক দিতে পারেন। এতে করে আপনার ব্যাথা অনেকটা কমতে শুরু করবে, আপনি আরাম অনুভব করবেন।

ব্যথা কমাতে দীর্ঘ শ্বাস নেয়া খুবই কার্যকারী উপায়। একটানা ১০ থেকে ১২ বার দীর্ঘ শ্বাস ধরে রাখুন এবং দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাস ছাড়ুন। এতে করে আপনি মানসিক ভাবে স্বস্তি পাবেন। এছাড়া অন্য মনোস্ক হওয়ার করনে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এ সময় কোন ভাবে অন্য কোন মানসিক চাপ নিবেন না, এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

এম এম কিট এর দাম কত - mm kit price in bangladesh

আমরা এতক্ষন এম এম কিট খাওয়া নিয়ম, এম এম কিট খাওয়ার পর করনীয় এবং এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা অনুভব হলে করনীয় কি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এবার আমরা জানবো এম এম কিট এর দাম কত? এম এম কিট এর দাম সাধারনত ২৭০ টাকা থেকে শুর করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এটি দাম মূলত ২৭০ টাকা কিন্তু প্রায় ফার্মেসিতে ৩০০ টাকা নিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে অনলাইন শপ গুলোতে দাম কিছুটা কম পাওয়া যায়। তারা সরাসরি ডিলারের থেকে নেয় বলে এত কম দামে দিতে পারে। তবে ডেলিভেরি চার্জ সহ ৩০০ টাকার বেশিই হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে লোকাল দোকান থেকে ৩০০ টাকায় ক্রয় করাই উত্তম।

এম এম কিট ক্রয় করার পূর্বে অবশ্যই উৎপাদনের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখে ক্রয় করুন। মেয়াদ উত্তীর্ণ এম এম কিট খাওয়ার ফলে গর্ভপাত না হওয়ার পাশাপাশি নানা শারীরিক ও মানসিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই ক্রয় করার পূর্বে অবশ্যই এই বিষয় গুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।

এম এম কিট খাওয়ার কতক্ষণ পর মাসিক হয় - এম এম কিট খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্লিডিং হয়

এম এম কিট খাওয়া কতক্ষন পর মাসিক হয় বা ব্লিডিং হয় তা নিদিষ্ট করে বলা অনেকটা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত বড় ট্যাবলেট মিফটোন খাওয়ার ২৪ ঘন্টার পর বা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মিসোটল ট্যাবলেট গুলো মুখে রেখে গলিয়ে খেতে হয়। তাহলে আগামী ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে স্বাভাবিক মাত্রায় রক্তপাত শুরু হয়।

তবে সবার ক্ষেত্রে একই নাও হতে পারে। কারো ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে ও হয়ে যায় আবার কারো হতে ১ দিন সময় ও লাগতে পারে। কারণ এই সকল কিছু নির্ভর করে শারীরিক অবস্থার উপর বিবেচনা করে। সবার শারীরিক আবস্থা একই রকম হয় না। তাই এই রকম সময়ের পার্থক্য হয়ে থাকে। তবে সাধারনত ৩ থেকে ৪ ঘন্টা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

তবে এম এম কিট খাওয়ার ১ দিন পর যদি গর্ভপাত না হয়ে থাকে তবে ডাক্তারের পরার্মশ অবশ্যই নেওয়া উচিত। এছাড়া যদি গর্ভপাত হওয়ার ১ সপ্তাহ পর ও যদি রক্তপাত বন্ধ না হয় সেক্ষেত্রে ও ডাক্তার দেখানো উচিত। ডাক্তার যেভাবে চলতে বলে বা ঔষধ খেতে বলে সেভাবে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন। সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

এম এম কিট খেলে কি ক্ষতি হয় - mm kit এর ক্ষতিকর দিক - mm kit এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এম এম কিট খাওয়া নিরাপদ বা সঠিক পদ্ধতি হলেও এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো আমাদের শরীরে নানা ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। সেজন্য কোন মতেই ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া এম এম কিট ট্যাবলেট গ্রহন করা উচিত নয়। চলুন জেনে নেই এম এম কিট খেলে কি ক্ষতি হয় বা mm kit এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে-
  • এম এম কিট খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
  • এটি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে শরীর দুর্বল বা ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।
  • এম এম কিট খাওয়ার ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যার জন্য অ্যানিমিয়া রোগ হতে পারে।
  • এটি খাওয়ার ফলে প্রচন্ড পেট বা কোমড় ব্যথা হতে পারে। এমনটি এই কোমড় ব্যাথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
  • এম এম কিট খাওয়ার ফলে জরায়ু অনেক বেশি সংকোচন হতে পারে এবং সেখানে ব্যথা হতে পারে।
  • এটি খাওয়ার ফলে শরীরে হালকা কাঁপুনি বা জ্বর আসতে পারে। এই জ্বর সংক্রমনের জন্য হতে পারে।
  • এম এম কিট খাওয়ার ফলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
  • এছাড়া ও কখনো কখনো গর্ভপাত না হওয়ার ও সম্ভাবনা থেকে যায়। অপর দিকে জরায়ুতে সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

লেখকের মন্তব্য: এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা - এম এম কিট খাওয়ার পর করনীয়

প্রিয় পাঠক, এম এম কিট খাওয়ার পর ব্যাথা হলে কি করতে হবে এবং এম এম কিট খাওয়ার পর করনীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়া এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম, এম এম কিট এর কাজ কি, এম এম কিট খাওয়ার কতক্ষণ পর মাসিক হয় এবং এম এম কিট এর দাম কত সে সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।

এম এম কিট কখনোই ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া খাবেন না। এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই জানা উচিত, যাকে খাওয়ানো হবে, সে প্রেগনেন্ট কিনা? সেক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি টেস্ট দ্বারা পরীক্ষা করতে পারেন। যদি পজেটিভে তাহলে এম এম কিট খাওয়া যেতে পারে। আর যদি নেগেটিভ আসে তাহলে কোন ক্রমেই এম এম কিট খাওয়া যাবে না।

এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার উপকারে আসে এমন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন। নিজে ভাল থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। পৃথিবী হোক সুন্দরময়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যামপ্লি ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url